বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৫ শতাংশ আয়কর দিতে হবে

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
0

সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ।

এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারের ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায় সংক্রান্ত আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আয়কর আদায় থেকে বিরত থাকতে আপিল বিভাগের আদেশ বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।

এরও আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আরোপ করা হয়, যা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরা। তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়কর নেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

সেই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করে। হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আজ আবার ট্যাক্স দিতে হবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ২০১৫ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হলে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে তা বন্ধ করা হয়।

এর আগে ২০০৭ সালের ২৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, তাদের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পুনঃনির্ধারণ করে।

এর পর ২০১০ সালের ১ জুলাই এনবিআরের আরেক প্রজ্ঞাপনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং কেবলমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজের আয়ের ওপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।

এই প্রজ্ঞাপন দু’টি চ্যালেঞ্জ করে ৪৬টি রিট আবেদন করা হয়। এসব রিট আবেদনে প্রথমে রুল জারি করা হয়। এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আয়কর আদায় অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।