ভিক্ষুকের জমিও নিজের নামে করে নিলো প্রতারক

আপডেট: জুলাই ২৮, ২০২১
0
Exif_JPEG_420

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পেশাকে পুঁজি করে অনিয়ম করে চলেছে শত শত। অবৈধ ভাবে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভিক্ষুকের জায়গা পর্যন্ত অবৈধভাবে দখল, নারী কেলেঙ্কারী, চাঁদাবাজিসহ অভিযোগের শেষ নেই তার বিরুদ্ধে। চলছে পেশার দোহাই দিয়ে হাজারো অনিয়ম।

দোষ ঢাকতে কখনো কখনো নানা ছল, ছাতুরী ও আবার কখনো গাঁ ঢাকা দিয়েও থাকে এই বহুরূপী। নিজেকে বড় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও ভয়-ভীতি প্রর্দশনও করে থাকে সে। সব মিলিয়ে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গুইমারাবাসী।

অন্যদিকে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়াসহ আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে প্রতারক দিদারুল আলম দিদার নামের এই কতিপয় এই ব্যাক্তি নিজের স্বার্থ হাঁসিলে অর্থের লোভ ও সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কিছু লোকদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়ে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে এই ব্যাক্তি। তার এসব দূর্নীতির ফিরিস্তি তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে।

সাংবাদিক নামধারী কতিপয় ব্যাক্তি অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত কয়েকজনকে টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নিউজ করতে অনুরোধ করে নিজের স্বার্থ হাঁসিলে বাড়িয়েছে পাশ^শক্তিও। এছাড়াও সম্প্রতিকালে এই ব্যাক্তি সরকার বিরোধী অপপ্রচারসহ রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকা-ে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এসব ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গুইমারার পেশাজীবি সাংবাদিকরা। গুইমারা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বলেন, সাংবাদিকতার আঁড়ালে দেশ ও জাতীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল। অভিযুক্ত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে দীর্ঘ সময় ধরে স্থানীয়দের ক্ষতি করে আঞ্চলিক সংগঠনের গুপ্তচরের কাজ করে আসছে। যার প্রমাণ রয়েছে। এ ধরনের রাষ্ট্রদোহী ঘটনার সাথে যে ব্যাক্তিই জড়িত থাক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী বলে মন্তব্য করেন সাংবাদিক নেতারা।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, হত্যা, অন্যের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল, চাঁদাবাজির অভিযোগ সহ একাদিক অভিযোগ হয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে। এরই মধ্যে স্থানীয় অসহায় মো: রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি সাথে প্রতারণা করে জায়গা দখলের অভিযোগ ও মো: আব্দুর রশিদ নামের এক ভিক্ষুকের জমির ধায্যকৃত মূল্য পরিশোধ না করে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নিজের নামে রেজিষ্ট্রি করে নেয় এই প্রতারক দিদারুল আলম দিদার ।

জানা গেছে, ৪ একর ভূমির নির্ধারিত ধায্যকৃত মূল্য ৮ লক্ষ টাকা যা রেজিষ্ট্রি দলিলে লিখা রয়েছে। অথচ মাত্র ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে বাকি টাকা না দিয়ে ঐ অসহায়ের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রি করে নেয় সে। বাকি টাকা পরিশোধ না করে হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানান ওই ভিক্ষুক। অন্যদিকে গুইমারা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজে বাঁধা দিয়ে মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছে সংশ্লিষ্টরা।

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি