ভুয়া ওয়ারেন্টে হয়রানির শিকার মুক্তিযোদ্ধার পুত্র

আপডেট: জুলাই ৯, ২০২৩
0

খুলনা ব্যুরো:
রাঙামাটি জেলার ভুয়া গ্রেফতারী পরোয়ানায় চরম হয়রানির শিকার হয়েছেন ডুমুরিয়ার এক মুক্তিযোদ্ধার পুত্র। চক্রান্তকারীদের কারসাজি এবং কতৃপক্ষের দায়িত্বে চরম অবহেলায় ব্যক্তির হয়রানির ঘটনায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়; রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কোতয়ালী থানায় ১/১২/২০২২ তাং কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় মামলা হয়। তার নং জিআর ৪৭৩/২২, ধারা ৪৫৭/৩৮০/৪১১ দণ্ডবিধি। চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার ৮ জনকে আসামি করা হয়। ঐ মামলায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর রশিদ রনোর পুত্র আশিকুর রহমান সাগরের নামে ১৪/৩/২০২৩ তাং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তার স্মারক নং ২২৬। খুলনা জেলা পুলিশ সুপার গত ২৯/৩/২০২৩ তাং গ্রেফতারি পরোয়ানা সত্যতা যাচাই পূর্বক সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণের জন্য কোর্ট ইন্সপেক্টরকে নির্দেশ দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর ২/৪/২০২৩ তাং জিআরও দিপংকরকে যাচাই পূর্বক সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে আসামি গ্রেফতার করার জন্য ওয়ারেন্টটি ডুমুরিয়া থানায় প্রেরণ করেন। ডুমুরিয়া থানা পুলিশ আশিকুর রহমান সাগরকে গ্রেফতারে তৎপর হলে তিনি দুই মাস আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে সাগর গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি যোগাড় করে লোকজন নিয়ে রাঙামাটি কগনিজেন্স আদালতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট মামলার নথিপত্র উত্তোলন করেন। তিনি দেখতে পান যে আশিকুর রহমান সাগর নামে কোন আসামি নেই। পরবর্তীতে রাঙামাটি সদর কোর্ট পুলিশ যাচাই বাছাই পূর্বক ডুমুরিয়া থানার ওসিকে প্রতিবদনে জানান যে রাঙামাটি জেলা হতে আশিকুর রহমান সাগরের নামে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ইসু্্য হয়নি। বিষয়টি অবহিত হয়ে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ যাচাই বাছাই পূর্বক রাঙামাটি বিজ্ঞ কগনিজেন্স আদালতে প্রতিবেদনে জানান যে রাঙামাটি জেলায় তার বিরুদ্ধে কোন মামলা মোকদ্দমা নাই এবং তিনি ব্যক্তি হয়রানির শিকার হচ্ছেন কিনা তা যাচাই বাছাই প্রয়োজন বলে ২০/৫/২০২৩ তাং প্রতিবেদন দেন।
এ বিষয়ে জিআরও দীপংকর বলেন; বর্তমানে আমি ডুমুরিয়া কোর্টের দায়ীত্বে নেই। তবুও ওয়ারেন্টটি ডুমুরিয়া থানা থেকে ফেরত এনে বিষয়টির সতত্যা নিশ্চিত হতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কোর্ট ইন্সপেক্টর মাধ্যমে জানার চেষ্টা করবো।
হয়রানির শিকার আশিকুর রহমান সাগর ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন; আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি স্থানীয় চক্রান্তের শিকার। গত কয়েক মাস ধরে শারীরিক মানসিক এবং পারিবারিকভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি। আর্থিক ভাবেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কতৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা এবং চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করবো।

মোঃ আনোয়ার হোসেন আকুঞ্জী