কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশকে ঘিরে উভয়ের মধ্যে হঠাৎ উত্তেজনা দেখা দিলেও শান্তিপূর্ণভাবেই তাদের কমসূচী সমাপ্ত হয়েছে।
এদিকে ভূরুঙ্গামারী কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে মিছিল নিয়ে ফেরার পথে আওয়ামীলীগের একদল কর্মী ভূরুঙ্গামারী কলেজ মোড়ে সদর ইউনিয়ন বিএনপির সমাবেশের ব্যানার ছিরে ফেলে, অস্থায়ী মঞ্চ ও মাইক ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে বিএনপি-জামায়াত জোটের নৈরাজ্যমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতারুজ্জামান মন্ডল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ শাহজাহান সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে একই কর্মসূচি পালন করে আওয়ামীলীগ।
অপরদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং ১০ দফা দাবী আদায়ে চলমান গণআন্দোলনের যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউনিয়ন পর্যায়ে সদর ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচী ভূরুঙ্গামারী কলেজ মোড়ে পালন করে। উপজেলার দশটি ইউনিয়নে এক যোগ এই কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
এসময় উপজেলা বিএপির সহ-সভাপতি কাজি নিজামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করে।
এর আগে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে ফেরার পথে ওই মিছিল থেকে সদর ইউনিয়ন বিএনপির সমাবেশের জন্য কলেজ মোড়স্হ ইসলামী ব্যাংকের সামনে তৈরী করা মঞ্চ ভাংচুর ও ব্যানার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ করেছে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী নিজাম। তিনি বলেন, আমরা পদযাত্রা শেষে ইসলামী ব্যাংকের সামনে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম এসময় হঠাৎ করেই আওয়ামীলীগের মিছিল থেকে একদল উশৃঙ্খল যুবক আমাদের মঞ্চে লাগানো ব্যানার ও মাইক ভাংচুর করে চলে যায়।আমরা এসময় কিছুই বলিনি।আমরা চাই শান্তি তাই কোন প্রকার গ্যান্জাম ও তাদেরকে বাধা দেইনি।আমরা শান্তি চাই। তাই আমরা আশা করছি শান্তিপূর্নভাবেই এই সরকারের পতন হবে।
ব্যানার ছিড়ে ফেলা ও মাইক ভাংচুরের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নূরন্নবী চোধুরী বলেন আমি মাইক ভাংচুর ও ব্যানার ছিড়ে ফেলার বিষয়ে কিছু জানিনা।এসময় আমি উপস্হিত ছিলাম না।তবে বিএনপির সমাবেশ থেকে উস্কানীমূলক বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে তাদের সাথে আমাদের লোকজনের কিছুক্ষন কথাকাটাকাটি হয়েছে বলে শুনেছি।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন বিএনপির সমাবেশে ব্যানার ছিড়ে ফেলা ও মাইক ভাংচুরের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ আমাকে অভিযোগ করেননি।
###
১১-০২-২৩
