ভূরুঙ্গামারীতে বিশ্ব পানি দিবস পালিত

আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২২
0

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ;
Groundwater: Making the Invisible Visible” অর্থাৎ ” ভূ-গর্ভস্থ পানি: অদৃশ্যকে দৃশ্যমান করা”।এই প্রতিপাদ‍্যকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (৪ এপ্রিল ) ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ হলরুমে দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।পরে একটি র‍্যালী উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিন করে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম‍্যান নূরন্নবী চৌধুরী। বক্তব‍্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা,জনস্বাস্হ‍্য প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ময়দান আলী, বিআরডিবি কর্মকর্তা রায়হান ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন প্রমূখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা পানির অপচয় রোধ করতে পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহবান জানান।এইজন্য সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। শুধু তাইনয় নতুন নতুন আবাসিক ভবনে পানি সাশ্রয়ী সরঞ্জাম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যাপক দূষণ এবং মিঠা পানির সহজ প্রাপ্যতা না হওয়ার কারণে সারাবিশ্বসহ আমাদের দেশেও দিনদিন ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়ে গেছে। অথচ সারাবিশ্বে ব্যাপকহারে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের কারণে ভূ-গর্ভস্থ পানির মজুদ আজ হুমকির মুখে। তাই এই বছরের পানি দিবসের লক্ষ্য হলো ভূ-গর্ভস্থ পানি সম্পর্কে সারা বিশ্বের মানুষকে আরও বেশি সচেতন করা। যাতে বিশুদ্ধ পানির এই উৎস সম্পর্কে মানুষ আরও বেশি সজাগ হয়।

বিশেষকরে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো, দূষণ রোধ এবং এর বিকল্প উৎসের সংস্থান করা। যাতেকরে পৃথিবী আরো বেশিদিন এই উৎস থেকে পানি আহরণ করতে পারে। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পানি দূষণের কারণে পৃথিবীতে আজ বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ চরম হুমকিতে। এই অবস্থায় প্রাকৃতিক ভূ-গর্ভস্থ পানিও যদি নিঃশেষ হয়ে যায়, তাহলে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য ব্যাপক হুমকির মখে পড়বে। তাই ২০২২ সালের পানির প্রতিপাদ্য , ” ভূ-গর্ভস্থ পানি: অদৃশ্যকে দৃশ্যমান করা” একটি যুগোপযোগি বিষয়। আমাদের সকলের উচিত এই বিষয়ে যথাযথ সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
উল্লেখ‍্য আন্তর্জাতিক পানি দিবসের ধারণাটি ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে পরিবেশ ও উন্নয়নের উপর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি রেজুলেশন থেকে গৃহীত হয়। ওই সভায় পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্ব জল দিবস বা পানি দিবস পালনের ঘোষনা দেয়া হয়।সেই থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
###
আমিনুর রহমান বাবু