কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মাদক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রামে মর্গে প্রেরন করেছে।
জানাগেছে, বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার পাথরডুবি এলাকার জিআর ১৭৬/৯ ও ৬৮/২০মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী আব্দুল জলিলের পুত্র সুরুজ্জামান দীর্ঘদিন ঢাকায় পলাতক থাকার পর ক
কয়েকদিন আগে সে বাড়িতে আসে। পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ওই আসামীক গ্রেফতারের জন্য রাতেই তার বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু বাড়িতে যাবার পর তারা দেখতে পায় সুরুজ্জামান পেট ব্যাথায় কাতরাচ্ছে এবং ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার পাতলা পায়খানা ও বমি করছে বলে তার স্বজনরা জানায়। ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে চিকিৎসা দিতে কেউ সাহস পাচ্ছেনা মর্মে পরিবারের পক্ষথেকে জানানো হলে পুলিশ মানবিক কারনে তাদেরকে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয় পরে তার মা জোবেদা বেগম ও ভগ্নিপতি আলমসহ সুরুজ্জামানকে ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে পৌছে দেয়। সেখানে সুরুজ্জামানের মা ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করালে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে মৃতের ভগ্নিপতি আলমগীর বলেন, পুলিশের পরামর্শে আমরা তাদের সহযোগিতায় আমার শালাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। তিনি বলেন এখন আমরা লাশ বাড়িতে নিতে চাইলে পুলিশ লাশ না দিয়ে পোস্ট মর্টেম করার জন্য নিয়ে যায়।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ এএসএম সায়েম বলেন, তার মা তাকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করেছিলো। অতিরিক্ত বমি ও পায়খানার কারনে পানি শূন্যতার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে।
এ বিষয়ে,ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, এব্যাপারে আমরা মানবিক কারনে তাকে গ্রেফতার না করে চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই আসামীর মৃত্যু যাওয়ায় আইনগত দিক বিবেচনা করে লাশ পোর্স্ট মর্টেমে করা হবে।
####
২৫/০৮/২২
