মানুষ সব জানে, রেহাই পাবেন না: রিজভী

আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২২
0
file photo

ক্ষমতা পাকাপোক্ত ও পথের কাঁটা যেন না থাকে, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা মামলায় সাঁজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর।

বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামকে বাঁচা-মরার সংগ্রাম আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই সরকার অনেক কিছুই হত্যা করবে, এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতাকে হত্যা করেছে, গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার গুলোকে হত্যা করেছে, এরা হত্যা ও রক্তক্ষরণ ছাড়া কিছুই করতে পারেনি। আর এই গুলো নিশ্চিত করার জন্যই গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেই অভিযোগ পত্রে সঙ্গে কোন সম্পর্ক নাই, কিছুই নাই। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করে সাঁজা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন তিনি অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনাদের ধরে নিতে হবে প্রধানমন্ত্রী যখন বলবেন তারপরেই দ্রব্যমূল্যর দাম বেড়ে যাবে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ, এই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী। জনগণ খেতে না পেয়ে বাঁচল কিংবা মরল এর কোনো তোয়াক্কা করে না এরা। এরা সেই আওয়ামী লীগ যখন মানুষ খেতে না পেয়ে ফুটপথে কাতরাচ্ছে। তখন তারা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াবে এটাই তাদের ঐতিহ্য। ’৭৪ দুর্ভিক্ষের সময় দেশের মানুষ যখন খেতে না পেয়ে মারা যাচ্ছিল। তখন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারে সোনার মুকুট পরে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আরব আমিরাতে গিয়ে ছিলেন, মানুষ অনেক কথা বলাবলি করছে, নানা কথা ভেসে আসছে হঠাৎ করে কেন তিনি গেলেন? যাওয়ার আগের দিন তার বেয়াইয়ের ভাইকে গ্রেপ্তার করলেন, জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব পরিমণ্ডলের কাছে এটা কিসের বার্তা। মানুষ কিন্তু সব বোঝো সব জানে, এই উন্নয়নের নামে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে, সেখান থেকেও রেহাই পাচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে নিজে গিয়ে সেটা সামাল দিতে হচ্ছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।’

মহিলা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আজকেরই আন্দোলনের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার ফিরে আন্দোলন। তাই এই আন্দোলন আরও তীব্রতর করতে হবে। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। আলাদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নারী নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় একটি দল তাই তাদের নেতৃত্বে এই আন্দোলন সফল হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

মহিলাদলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।