মীর্জা ফখরুল-আব্বাস-রিজভীরা মিথ্যা মামলায় বন্দী :বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে অপশাসনের পতন ঘটানোর অঙ্গীকার করছি — তারেক রহমান

আপডেট: ডিসেম্বর ১০, ২০২২
0

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন ,”
অন্যায়ভাবে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় হয়রানী করা হচ্ছে। ”

দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২২’ উপলক্ষে এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আজ নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন তা দেশ জনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো—
‘আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর ২০২২ বিশ^ মানবাধিকার দিবস। প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসম্বের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষানা পত্র গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালে জাতিসংঘ এই দিনটিকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিনে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশের মৌলিক মানবিক অধিকার, নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করছি। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মানব মর্যাদা, স্বাধীনতা আর ন্যয় পরায়ন, দাঁড়াবো সকলেই অধিকার আদায়ে।’

যারা মত প্রকাশ ও বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, রাজনৈতিক অধিকার ও স্বাধীনতা, নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় এবং স্বৈরশাসক গোষ্ঠীর দমন-নিপীড়নে যারা জীবন দিয়েছেন তাঁদের আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সহমর্মিতা।
বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে এবার বিশ^ মানবাধিকার দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর জাতিসংঘ এই দিবসের যে প্রতিপাদ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে তাও বাংলাদেশের জন্য প্রাসাঙ্গিক।

বাংলাদেশর আজ গণতন্ত্রহীন অমানবিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মানবাধিকার আজ পদে পদে লংঘিত। বাংলাদেশে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার নেই। বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় নেত্রী, গণতন্ত্র পূণঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সকল মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে। জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলকে দমন করতে শাসকগোষ্ঠী নির্বিচারে গুলি করে হত্যা, নির্যাতন চালাচ্ছে। বাকস্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকারসহ সকল অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। অন্যায়ভাবে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় হয়রানী করা হচ্ছে। দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য জনগণের মিলিত কণ্ঠের আওয়াজ তুলে বর্তমান অপশাসনের পতন ঘটানো ঘটাতে হবে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’