যশোরে বিএনপির করোনা হেল্প সেন্টারে ছাত্রলীগের হামলা-ভাঙচুর, ছুরিকাঘাতে সিনিয়র নেতা আহত

আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২১
0

যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংঘটিত এ হামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

মারপিটের শিকার হন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। ভাঙচুর করা হয়েছে নেতাকর্মীদের ১০টি মোটরসাইকেল, কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল, কম্পিউটার ও প্রিন্টার। এ হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে বিএনপি।

হামলার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ৫০-৬০ জনের একদল সশস্ত্র যুবক ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে এসে হামলা চালায়।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে তার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে করোনা রোগীদের জন্য গঠিত হেল্প সেলে টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করতে সহায়তা কার্যক্রম চলছিল। হামলাকারীরা রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র তছনছ করে কম্পিউটার প্রিন্টার ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে এবং মারধর করতে থাকে। কার্যালয়ের সামনে রাখা নেতাকর্মীদের ১০-১২টি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ পিন্টু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলুর পায়ে ছুরি মারেন। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি বলেন, হামলা হওয়ার আগে তাদের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা হামলার জন্য জেলা ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল ইসলাম রানা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহউদ্দিন কবির পিয়াস, সাধারণ সম্পাদক তানজিল নওশাদ পল্লব, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ পিন্টুর নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে হামলার খবর পেয়ে দলীয় কার্যালয় ও হাসপাতালে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। পরে তার নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজিল নওশাদ পল্লবের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঘটনার পরপরই যশোর কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

জেলা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ রূপন বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এমন ঘটনা ঘটেছে কি-না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ বলেন, গোলাম রেজা দুলুর ডান পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। গভীর ক্ষত হলেও তিনি এখন শংকামুক্ত। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।