যেন নিজের ঘরে ফিরে এলাম : ইসলামে প্রবেশের পর নওমুসলিম ধর্মযাজক

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
0

ইসলামে প্রবেশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ ক্যাথলিক ধর্মযাজক। এরপরই তার ঘোষণা- ‘যেন নিজের ঘরে ফিরে এলাম।’

সোমবার আরবি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা মুবাশির এ তথ্য নিশ্চিত করে।

পত্রিকাটি জানায়, ওই ধর্মযাজকের পূর্বের নাম হিলারিয়ান হেইগি। ইসলামে প্রবেশের পর নিজের নামকরণ করেছেন সাঈদ আব্দুল লতিফ।
গত শনিবার হিলারিয়ান হেইগি নিজের ফেসবুক পেজে ইসলামে প্রবেশের বিষয়টি ঘোষণা করেন।
হিলারিয়ান হেইগি ২০০৩ সালে অ্যান্টিওকিয়ান অর্থোডক্স চার্চের আনুগত্য গ্রহণ করেন।

পরে ২০১৭ সালে পূর্ব ক্যাথলিক চার্চে যোগদান করেন। তার আগে উইসকনসিনের সেন্ট নাজানিয়ানের হোলি রিজারেকশন মানাস্টেরি থেকে বাইজেন্টাইন ক্যাথলিক যাজক-সন্ন্যাসী হওয়ার বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

ফেসবুকে ইসলামে প্রবেশের ওই ঘোষণায় নওমুসলিম সাঈদ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পর অবশেষে আমি মুসলমান হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটি ঘটারই ছিল। দৈহিক সঞ্চালন জরুরি ছিল। যখন আমি ক্যাথলিক চার্চে ছিলাম, তখন একজন মানুষের ক্ষেত্রে ধর্মযাজক হয়ে প্রকাশ্যে ইসলামের কথা বলা সম্ভব ছিল না। অবশেষে আল্লাহ আমাকে হেদায়েত দান করলেন এবং আমি গোপনে মুসলিম হিসেবে জীবনযাপন করছিলাম।’

ওই ঘোষণায় তিনি পবিত্র কুরআনের সূরা আরাফের ১৭২ নম্বর আয়াতের অর্থও জুড়ে দেন। আয়াতটির অনুবাদ হলো- ‘স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানদের পৃষ্ঠ হতে তাদের বংশধরদের বের করলেন আর তাদেরকেই সাক্ষী বানিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই?’ তারা বলল, ‘হ্যাঁ; এ ব্যাপারে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি।’ (এটা এজন্য করা হয়েছিল) যাতে তোমরা কিয়ামাতের দিন না বল যে, ‘এ সম্পর্কে আমরা একেবারেই বে-খবর ছিলাম।’

সাঈদ আব্দুল লতিফ জানালেন, তিনি মুসলিমদের থেকে যে আতিথেয়তা পেয়েছেন, তা ছিল অসাধারণ। এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমার জীবনে এর আগে কখনো আমি এরূপ আতিথেয়তা দেখিনি।’ ইসলামে প্রবেশের অনুভূতি জানিয়ে এই নওমুসলিম বলেন, ‘ঈমানকে এখন গভীরভাবে অনুধাবনের সময় এসেছে। ইসলামে প্রবেশের ঘোষণার পর থেকে আমার ম্যাসেজবক্স শুভেচ্ছাবার্তায় পরিপূর্ণ। আর রিংটোন তো বেজেই যাচ্ছে।’

সাবেক ধর্মযাজক হিলারিয়ান হেইগির ইসলামে ফিরে আসার খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। পক্ষান্তরে খ্রিস্টানদের কেউ কেউ তাকে আখ্যায়িত করছেন ‘ধর্মদ্রোহী’ হিসেবে।

সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির