র‌্যাব-২’র অভিযানে আদাবর থেকে “আকাশ গ্রুপ”সহ ২০ ডাকাত ও ছিনতাইকারী গ্রেফতার

আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২৩
0

র‌্যাব-২ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আদাবর থানাধীন শ্যামলী হাউজিং এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে “আকাশ গ্রুপের” ৫ জন এবং অপর একটি অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা হতে ছিনতাই এর প্রস্তুতিকালে ১৫ জন ছিনতাইকারীসহ মোট ২০জনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে গ্রেফতারকৃত ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দখল হতে দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি, ছুরি, চাকু, খুর ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রজব্দ ও মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক শিহাব করীম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধে মারাত্মকভাবে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির মত ঘটনা ঘটায়। সাম্প্রতিককালে বছিলা ও এর আশপাশ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও পথচারীদের নিকট হতে মোবাইল ছিনতাই সহ শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রম ঘটায়।

এছাড়াও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা রুজু হয়। সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে এতে এলাকার পথচারী মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজধানীবাসী বিভিন্ন এলাকায় চলাচল কালে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নারী, পুরুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থী সহ নির্বিশেষে সবাইকে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হয়। এরই পেক্ষিতে র‌্যাব-২ এই চক্রের উপর গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে র‌্যাব-২ উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও ধানমন্ডি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সর্বোমোট ২০ জনকে গ্রেফতার করে। আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা একাধিক সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে ফুটপাতের দোকান ও পথচারীদেরকে তাদের নিকট থাকা ক্ষুর-চাকু ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের নিকট থাকা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, মুঠোফোন সহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ডাকাতি ও ছিনতাই করে মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে র‌্যাব-২ এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।