লকডাউনে এনজিও শোষণ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না ডুমুরিয়ার কর্মহীন মানুষ

আপডেট: জুন ২৪, ২০২১
0

মোঃ আনোয়ার হোসেন আকুঞ্জী, খুলনা ব্যুরোঃ
চলতি লকডাউনে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে এনজিও কর্মীরা। সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দাশার মধ্যে অমানবিতার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে তারা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাধ্যবিধি জলাঞ্জলী দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে নাজেহাল করছেন এনজিও কর্তারা। মরলেও তাদের শোষণ থেকে মানুষের মুক্তি নেই। যন্ত্রণার উপর আরও অসহনীয় যন্ত্রণার কবলে পড়া আতংকিত ঋণগ্রস্থ মানুষের ঘুম এখন হারাম হয়ে পড়েছে।

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলছে লকডাউন। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে শুরু হয়েছে গভীর সংকট। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবী, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ। বৈশি^ক করোনা আতংকে মানুষ এখন দিশেহারা। ক্ষুদ্রঋণের জালে আটকে পড়ে আছে গ্রামাঞ্চলের এসব মানুষ। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অফিস কোনমতে চালু রেখে গ্রাম মহল্লায় ছড়িযে পড়েছে এনজিও মাঠকর্মী ও কর্মকর্তারা। কিস্তি আদায়ে বাড়িতে বাড়িতে বসে থাকছে তারা। কিস্তি না দিলে আগামিতে লোন দেয়া হবেনা বলেও হুমকি দিচ্ছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার আন্দুলিয়া শাহজামাল কিন্ডার গার্টেনের পাশে মোহাম্মদ আলীর মেয়ে তানিয়া। স্বামী ফোরকান আলী একজন ইজিবাইক চালক। বন্ধুকল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে ১ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছেন। সাপ্তাহিক কিস্তি ২৬’শ টাকা। স্বামী এখন কর্মহীন। আজ (২৪ জুন) সরেজমিনে দেখা যায় মাঠকর্মী কাজল ইসলাম স্বাস্থ্যবিধি জলাঞ্জলী দিয়ে বারান্দায় খাতাপত্র নিয়ে বসে আছেন। কিস্তি দিতে চাপ দিচ্ছেন তানিয়াকে। কাছে টাকা নেই। তানিয়া একবার বাইরে একবার বারান্দায় ঘোরাফেরা করছেন। এ প্রতিনিধি জানতে চাইলে মাঠকর্মী কাজল বলেন; লকডাউনে কিস্তি নিতে নিষেধ নেই। আমাদের ছুটিও নেই।
থুকড়া জনতা বহুমুখী সমবায় সমিতির লিঃ এর কর্মী সাজ্জাদ, আশিক ও সুজন পরিচয়ে মটর সাইকেলযোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায় করতে বসে থাকছেন। সুজন বলেন; সামনের বাড়ি থেকে কিস্তি নিয়ে আসলাম। তাদের সাথে কথা হলে বলেন; কিস্তি আদায় বন্ধ নেই।
মবিনা খাতুন আল দ্বীন এনজিও কর্মী। কিস্তি আদায় করতে না পারলে আমরা কিভাবে চলবো। অফিস কি আমাদের বেতন দিবে? কিস্তি আদায় করতে অফিসিয়াল নির্দেশ রয়েছে তাই কিস্তি আদায় করতে এসেছি।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন; লকডাউনে কিস্তি আদায় করা যাবেনা।