লকডাউন দিলো আবার কলকারখানাও চালু রাখলো : সরকারের উদাসীনতা দ্বৈতনীতিতেই এতো জীবন ঝড়ে গেলো– মীর্জা ফখরুল

আপডেট: জুলাই ৯, ২০২১
0

নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারাখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এপর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে ৫২ জনের প্রাণহানি ও অনেক মানুষ আহত হওয়ার হৃদয়বিদারক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রুপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এপর্যন্ত ৫২ জনের প্রাণহানি ও অনেক মানুষের আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার-পরিজনদেরকে সান্তনা দেয়ার ভাষা আমার নেই, আমি তাদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।
মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য সরকার একদিকে লকডাউন ঘোষণা করেছে, অন্যদিকে মিল-কল কারখানা চালু রেখেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে এসে অগ্নিকান্ডে পুড়ে নির্মমভাবে জীবন দিতে হলো খেটে খাওয়া শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মিল-কলকারখানা, বাসা, বাড়ী, হোটেল, রেঁস্তোরা, মার্কেট, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অগ্নিকান্ড, গ্যাস বিস্ফোরণসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রাণ দিচ্ছে নিরীহ মানুষ। অথচ, এসব দূর্ঘটনা রোধে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। কল-কারখানাসমূহে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নাই।

শ্রমিক কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তা নাই। দূর্ঘটনা ঘটার পর সরকার তদন্ত কমিটি করে, বিভিন্ন আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরে তা আর আলোর মুখ দেখে না। মর্মান্তিক এসব দূর্ঘটনা ও মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না।
যদি লকডাউনে মিল কারখানা বন্ধ থাকতো, তাহলে এতো নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হতো না। একদিকে লকডাউন নিয়ে সরকারের দ্বৈত নীতি, অন্যদিকে কর্মস্থলে অনিরাপদ পরিবেশ ও উদাসীনতার জন্যই এতগুলো জীবন ঝরে পড়লো।

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে সঠিক তদন্তপূর্বক অগ্নিকান্ডের ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, নিহত-আহতদেরকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, এধরণের দূর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিএনপি মহাসচিব অগ্নিকান্ডে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জোর দাবীও জানান।