লাখাইয়ে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা: ব্যস্ততায় প্রার্থীরা

আপডেট: ডিসেম্বর ৭, ২০২১
0

প্রিয়া আক্তার, হবিগঞ্জ (লাখাই) প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। সকালের শিশির বিন্দু ও শীতকে উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। যেকোনো উপায়ে ভোটারদের ভোট নিজেদের পক্ষে নিতে নানানভাবে মন জয় করার চেষ্টায় ব্যাস্ত প্রার্থীরা। চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা হলেও এইচএসসি পরিক্ষার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী সময়সূচির পরিবর্তন হয়। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ২৬ ডিসেম্বর লাখাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মেম্বার ও চেয়ারম্যান পার্থীরা মাঠে নেমে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। এখন উপজেলা জুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এদিকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী স্বতন্ত্র পার্থীরা।

লাখাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৪৬ জন, ইউপি সদস্য (মেম্বার) পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা পদে ৮৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

লাখাই উপজেলা নির্বাচন কার্য্যালয় সূত্রে জানা যায়,
লাখাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৩৮৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

১নং লাখাই ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১৭ জন এবং সাধারণ পুরুষ সদস্য ৪০ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

২নং মুড়াকরি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সংরক্ষিত (নারী) সদস্য ১১ জন, সাধারণ সদস্য (পুরুষ) ৩৪ জন।

৩নং মুড়িয়াউক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত (নারী) সদস্য ১৩ জন, সাধারণ সদস্য (পুরুষ) ৪৯ জন।

৪নং বামৈ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সংরক্ষিত (নারী) সদস্য ১৮ জন, সাধারণ সদস্য (পুরুষ) ৩৮ জন।

৫নং করাব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, সংরক্ষিত (নারী) সদস্য ১১ জন, সাধারণ সদস্য ৪৬ জন।

৬নং বুল্লা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সংরক্ষিত (নারী) ১৪ জন, সাধারণ সদস্য (পুরুষ) ৪৬ জন।

চেয়ারম্যান ও মেম্বার পার্থীরা প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। দিন-রাত ছুটে চলেছেন নিজ নিজ ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে। ভোটারদের খোঁজ খবর নেওয়াসহ করছেন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়। সেই সাথে নিজেদের প্রার্থীতার কথা জানান দিয়ে দিচ্ছেন এলাকার মানুষের কাছে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি।

উপজেলার সচেতন মহল মনেকরছেন, প্রতীক দেখে নয় এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন এমন প্রার্থীকেই বেছে নিবেন তারা।