শত শত গুমের ঘটনায় দেশের মানুষ আজ উদ্বিগ্ন ,নিরাপত্তাহীন– তারেক রহমান

আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১
0

শত শত গুমের ঘটনায় দেশের মানুষ আজ উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
‘গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বানী প্রদান করেন।

তারেক রহমান বলেন , “সারাবিশে^ বিভিন্ন সময়ে গুম হয়ে যাওয়া মানুষদের স্মরণে ৩০ আগস্ট গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস। নিখোঁজ হওয়া মানুষদের স্মরণে জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি ২০১১ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে শত-শত গুমের ঘটনায় বাংলাদেশিরা আজ উদ্বিগ্ন। বিএনপি নেতাকর্মীসহ অন্য যারা গুম হয়েছেন তাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং নিখোঁজ মানুষদের পরিবারের প্রতি জ্ঞাপন করছি সহমর্মিতা। পৃথিবীজুড়ে গুম হওয়া মানুষগুলোকে স্মরণ ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য এই দিবসটি পালন করা হয়।

গুম এখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারিরা এই হাতিয়ার ব্যবহার করে যথেচ্ছভাবে। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই গুমের শিকার হয়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা।

দেশে বিরোধী দল-বিরোধী মত ও বিরোধী রাজনৈতিক বিশ্বাস দমন করার জন্য সমাজে সন্ত্রাস ও ভয় সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বর্তমান সরকার নির্বিচারে গুমকে ব্যবহার করে আসছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অব্যাহতভাবে গুম করা হচ্ছে সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক, সাধারণ ছাত্র-যুবক এমনকি গৃহবধূও।

এদের মধ্যে কয়েকজনকে ফেরত দিলেও বাকীরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, কাউন্সিলর চৌধুরী আলমসহ ছাত্র, যুবক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, মুক্তমনা মানুষকে গুম করা হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে দুই মাস গুম করে রাখার পর অন্য দেশে পাচার করা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিমূর্লের এই মনুষ্যত্বহীন সংস্কৃতি বাংলাদেশে ছিলনা, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই কেবলমাত্র এই পৈশাচিক সংস্কৃতি চালু করে। মানুষের এখন জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই।

যেদেশে জীবন্ত মানুষ অদৃশ্য হয়ে যায় সেই দেশের মানুষরা যেন আদিম অরণ্যেই বাস করছে। এইসব গুমের সাথে সরকার ও তাদের অনুগত রাষ্ট্রযন্ত্র জড়িত। ফ্যাসিবাদী অবৈধ ও নিশিরাতের আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশে শত শত গুমের হোতা হচ্ছে সরকারী এজেন্সীগুলো। গুম হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী বর্বর শাসনেরই অনুসঙ্গ। গুম হওয়া পরিবারগুলো অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের প্রিয়জনকে ফেরত পাওয়ার জন্য। দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য জনগণের মিলিত কন্ঠে বর্তমান অপশাসনের অবসানের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে।

গুম মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত। গণতন্ত্র ফিরে আসলেই মানবতা-জবাবদিহিতা ফিরবে এবং গুমের অবসান হয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।”