শব্দদূষণ নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিরলক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের সহকর্মীদের দলবদ্ধ হাঁটা

আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২৩
0


ঢাকা, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩:

শব্দদূষণ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকায় একটি ২০-কিলোমিটার দলবদ্ধ হাঁটারআয়োজন করেব্র্যাক ব্যাংকের একদল সহকর্মী।
২০ অক্টোবর ২০২৩ ব্র্যাক ব্যাংকের ৩০ জন ব্যাংকারের একটি উৎসাহী দল ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়েরসামনে থেকে শুরু করে সদরঘাট পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে পুণরায় শুরুর স্থানে ফিরে এসে ২০ কিলোমিটারের এই ওয়াকাথন (পদচারণা)শেষ করেন।শান্তিপূর্ণ ও স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য দূষণ প্রতিরোধের বিষয়টিকে সামনে রেখেএই পদচারণায় তারা একটি বিশেষ জার্সি পরিধান করেছিল, যেখানে স্লোগান হিসেবে লেখা ছিল ‘শব্দদূষণ ভয়ংকর’।

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির ‘ফ্রন্টিয়ার্স ২০২২: নয়েজ, ব্লেইজেসঅ্যান্ড মিসম্যাচেস’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে কোলাহলপূর্ণ শহর।ঢাকায় শব্দের গড় ফ্রিকোয়েন্সি হচ্ছে ১১৯ডেসিবেল, যা সহনীয় মাত্রার দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।এই অসহনীয় শব্দ সব বয়সের মানুষের, বিশেষকরে শিশু ও বয়স্কদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।

রাস্তায় হর্ন বাজানো থেকে মানুষদেরবিরত থাকার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতেশব্দদূষণের মতো ভয়ংকর বাস্তবতার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল এই সচেতন ব্যাংকাররা।গলিতে হাঁটতে হাঁটতে তারা চালক, বাইকার, ট্রাফিকপুলিশ ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শব্দদূষণের ফলে সৃষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে তাদের জানান।
‘ওয়াক ফর লাইফ বা জীবনের জন্য হাঁটা’শিরোনামের এই স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগের অংশ হিসেবেব্যাংকের সহকর্মীরা সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যার বিষয়ে সকলের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শহর ও দেশের বিভিন্ন স্থানে ভবিষ্যতেওএরকম ওয়াকাথন বা পদচারণার আয়োজন করবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিওও সাব্বির হোসেন এই জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন,“শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে এটি একটি অগ্রগামী উদ্যোগ। আমরা আশা করি,আমাদের এই প্রতীকী উদ্যোগটি অনেক দূর এগিয়ে যাবে। কারণ, আমরা আগ্রহ এবং ধারাবাহিকতার সাথে এই সমস্যাটির সমাধানে একযোগে কাজ করে যাবো। আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টাইসমাজে পরিবর্তন আনতে পারে এবং এই দেশকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে একটি বাসযোগ্য আবাসস্থল হিসেবে উপহার দিতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ ‘ওয়াক ফর লাইফ বা জীবনের জন্য হাঁটা’- এর আওতায় মানুষের মধ্যে সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেভবিষ্যতেও আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে হাঁটব। ওয়াকাথনের মাধ্যমে আমরা সমাজের ভালো করতে কাজ করতে পারি এবং নিজেদেরও ফিট রাখতে পারি।”