শিক্ষককে হেনস্তা করায় ৪ পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ

আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২১
0

কুড়িগ্রামের কচাকাটায় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হেনস্তা করার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন পুলিশের চার সদস্যকে দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। তারা পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও থানার ওসির উপস্থিতিতে বৈঠকে সমঝোতা হয়। উপস্থিত লোকজনের কাছে ক্ষমা চায় পুলিশ।

শনিবার সকাল ১১টায় কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়নের বলদিয়া বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে ।

স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের কৃষক উপেন্দ্র নাথ এবং খোকন মিয়ার মধ্যে জমি নিয়ে পুরনো বিরোধ ছিল। আজ সকালে উপেন্দ্র নাথ তার দখলে থাকা জমিতে চাষ করতে গেলে খোকন তা বন্ধে পুলিশের সহযোগিতা নেন। এসময় কচাকাটা থানার এসআই রবিউল ইসলাম, এএসআই মশিউর রহমান ও দুই কনস্টেবল ঘটনাস্থলে গিয়ে চাষাবাদ বন্ধ করে দেন। উপেন্দ্র নাথকেও থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তারা বলদিয়া বাজারে পৌঁছলে বলদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সরকার বিরোধের কারণ জানতে চান। এসময় এসআই রবিউল তাকে হেনস্তা করেন। ঘটনাস্থলে ক্ষুব্ধ লোকজন চার পুলিশ সদস্যকে দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে কচাকাটা থানার ওসি কামাল হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে সমঝোতা করেন।

প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, আমার পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশ অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। উপেন্দ্র নাথসহ আমাকেও থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।
এসময় স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে ওসি এবং স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়।

অভিযুক্ত এসআই রবিউল ইসলাম জানান, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের আশংকায় ওসির নির্দেশে সেখানে গিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষককে হেনস্তা করার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, জমি নিয়ে সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে এমন সংবাদ স্থানীয় একজন ফোন করে জানালে চার পুলিশ সদস্যকে সেখানে পাঠানো হয়। সেখানে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সমঝোতা হয়েছে।