শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কার্যকরী পরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত

আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২২
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, সরকার দেশে একদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধী দল-মত ও নেতৃবৃন্দের ওপর ধারাবাহিকভাবে জুলুম-নিপীড়ন করে যাচ্ছে। আজ দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। মানুষের রাজনীতি সভা-সমাবেশ করার অধিকার নেই। আজ দেশে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত করে এবং বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করে বাংলাদেশকে অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। স্বৈরাচারী কায়দায় গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে দেশ থেকে বিরোধীদল শূন্য করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে সরকার।

সরকারের সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যে কয়জন সজ্জ্বন রাজনীতিবিদ দেশ ও মানুষের পক্ষে নিজেদের কন্ঠ সুউচ্চ করেছে তাদের মধ্যে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি মিয়া গোলাম পরওয়ার ও বর্তমান সভাপতি আ ন ম শামসুল ইসলাম অন্যতম। সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আজ তাদেরকে কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্টে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

তিনি গতকাল (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্তৃক ভার্চুয়ালি আয়োজিত “কার্যকরী পরিষদের প্রথম অধিবেশনে-২০২২” এ সভাপতির বক্তব্যে উপরিউক্ত কথা বলেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এই সময় মূলমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, কবির আহমেদ, মুজিবুর রহমান ভূইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন, আব্দুস সালাম, মুহাম্মদ মহিব্বুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন ও প্রচার সম্পাদক জামিল মাহমুদ।

হারুনুর রশিদ খান বলেন, সকল জুলুম-নিপীড়নের এক দিন শেষ আছে। ইতিহাস সাক্ষী পৃথিবীর কোন স্বৈরাচারী সরকার তাদের ক্ষমতা আজীবন কুক্ষিগত করে রাখতে পারেনি। তাদের পতন হয়েছিল খুবই নির্মম। আমরা চাই মেহনতি শ্রমিকদের প্রাণপ্রিয় নেতৃবৃন্দসহ সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটবে। অন্যথায় দেশের শ্রমজীবী মানুষরা অতীতের গণআন্দোলনের ন্যায় তাদের নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করার পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অচিরে রাজপথে নেমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন এই দুর্যোগে শ্রমজীবী মানুষরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। অসংখ্য শ্রমিককে চাকুরী থেকে ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে কর্মহীন করা হয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের আয়ের পথ আজ প্রায় বন্ধ। ঠিক এই সময়ে সরকারের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের মূল্য বৃদ্ধি করে শ্রমজীবী মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। আমরা অবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

কর্মহীন শ্রমিকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বিনামূল্যে সরবরাহের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। কর্মঅক্ষম ও কর্মহীন শ্রমিকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।