সর্বব্যাপী দলীয়করণ ও সাজানো প্রশাস : অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অন্তরায়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
0

অদ্য ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সকাল ১০.৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের শিক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও গবেষণামূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘পলিসি ম্যানেজমেন্ট এন্ড রিসার্চ সোসাইটি’—পিএমআরএস এর উদ্যোগে ‘সর্বব্যাপী দলীয়করণ ও সাজানো প্রশাসন— অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অন্তরায়’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিএমআরএস এর চেয়ারম্যান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব মোঃ ইসমাইল জবিউল্লাহ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিএমআরএস—এর মহাসচিব এবং সাবেক যুগ্ম সচিব মোঃ আবদুল বারী।
সেমিনারে বিজ্ঞ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, শিক্ষক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ—উর—রহমান এবং পুলিশের সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান।

মূল প্রবন্ধে এ এস এম আব্দুল হালিম বলেন, “সরকারের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুবাদে বর্তমানে কর্মরত প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলব, আমরা সকলেই প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা বা কর্মচারী— কোনো দলবিশেষ বা সরকারের নয়। একজন নাগরিক হিসেবে যে কোনো মতাদর্শ ধারণ করা কিংবা নিজের ইচ্ছামতো যে কাউকে ভোট দেওয়ার অধিকার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর রয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতাদর্শ যেন সরকারি কাজকে প্রভাবিত করতে না পারে এবং আমাদের নিরপেক্ষ্তা প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে আমরা আরও যত্নবান হবো। মনে রাখবেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কেবল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আইনানুগ নির্দেশ পালন করতে বাধ্য, বেআইনি কিংবা অনৈতিক কোনো আদেশ নয়। দিন শেষে এ দেশটি আমাদের সকলের। দেশের স্বার্থ ও জনকল্যাণ সর্বাগ্রে”।
তিনি বলেন, দলীয় কর্মকর্তাদের দিয়ে সাজানো প্রশাসন বহাল রেখে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অসম্ভব। এ সরকার ক্ষমতায় এসেই প্রশাসন সাজানোর কাজে হাত দেয়। জনপ্রশাসন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা (পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার/ ভিডিপি) এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্যা মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, অধিদপ্তর এমনকি অধঃস্তন ও উচ্চ আদালত তথা বিচারবিভাগসহ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সর্বক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের লোকজন বসিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার লক্ষ্যে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র এবং প্রশাসনকে অপব্যবহার করে। শুধু তাই নয়, অনেককে আর্থিক ও বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক প্রলোভনে প্রলুব্ধ করে স্বীয় হীন দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে সরকার। এইসব কর্মকর্তাদের দলীয় নীলনক্সা অনুযায়ী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আবার দলীয় উদ্দেশ্য পূরণের পর ওই সকল কর্মকর্তাদের অনেককেই দ্রুত পদোন্নতি প্রদান, প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কিংবা অবসর গ্রহণের পর বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে নিয়োগের মাধ্যমে পুরষ্কৃত করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এবং এদের হাতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার ২০০৯ সনে ক্ষমতায় আসীন হয়েই নানাবিধ চালাকি ও হীন কৌশলের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে সর্বব্যাপী দলীয়করণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। অথচ নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ।

তিনি বলেন, বর্তমানে রাজপথে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের দুর্বার গণআন্দোলন চলছে। একটি তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের পরিচালনায় সুষ্ঠ, অবাধ, দলনিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বাংলাদেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ। এ দাবি এখন জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশগুলো ও উন্নয়ন সহযোগীদের কন্ঠেও বিষয়টি প্রবলভাবে ধ্বনিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক মহলকে সুন্দর সুন্দর শব্দচয়নের মাধ্যমে বুঝাতে চাচ্ছে যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে গণতন্ত্রকামী বিশ্বের প্রত্যাশা এবং এবং সরকারের উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন। কিন্ত সরকারের এই কৌশলি বক্তব্য জনগণ বিশ্বাস করে না। ২০১৪ সনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা এবং ২০১৮ সালের ভোটের আগের দিন মধ্যরাতে ব্যালটবাক্সে ভোট ভরে রেখে বিজয়ী ঘোষণা এবং পরবর্তী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি বর্তমান সরকারের উপর জনগণের আস্থাকে শূন্যের কোঠায় দাঁড় করিয়েছে। জনগণ এখন বিশ্বাস করে যে বর্তমান দলীয় সরকারকে ক্ষমতায় রেখে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অসম্ভব।

তিনি বলেন, রেওয়াজ অনুসারে প্রত্যেক জেলায় জেলা প্রশাসকগণ রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আসন্ন নির্বাচনে দলীয় স্বার্থ হাসিলে লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই নিজস্ব নীলনক্সা অনুযায়ী প্রশাসন সাজানোর কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন করেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলায় দলীয় ব্যক্তিদের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র জেলা প্রশাসন নয়, প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর সচিব নিয়োগ থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে একই অবস্থা বিরাজ করছে। জনপ্রশাসনের ন্যায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনকেও নতুন করে সাজিয়েছে যেন দলীয় পুলিশ দিয়ে এবারও নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যায়। পুলিশের কতিপয় অতি উৎসাহী দলবাজ কর্মকর্তা আবার তাদের পুরোনো চেহারায় ফিরে এসেছে। নতুন করে গায়েবী—হয়রানিমূলক মামলা দায়ের, মামলায় শত শত অজ্ঞাত আসামী করা হচ্ছে। গ্রেফতার অভিযান চলছে সারাদেশে। এখানে গ্রেফতার ও রিমান্ড সংক্রান্ত উচ্চ—আদালতে নির্দেশনাও মানা হচ্ছে না (ব্লাষ্ট বনাম সরকার মামলা) । বিরোধী দল দাবি করছে লক্ষাধিক মামলায় তাদের ৪০ লক্ষের অধিক নেতা কর্মী আসামী এবং এদের কোর্টের বারান্দায় কাটাতে হয় মাসের অধিকাংশ সময়। গায়েবী মামলায় হাজার হাজার কর্মী এখনও কারাগারে রয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফেরত আনেন এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময় এসে পুনরায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা লুন্ঠিত হয়। আইনের চোখে সকলেই আজ আর সমান নয়। একই ধরনের মামলায় অন্যরা জামিন পেলেও বেগম খালেদা জিয়া জামিন পান না। মিথ্যা মামলায় প্রদত্ত সাজা হাইকোর্টে দ্বিগুণ করা হয়। অপরদিকে বিলিয়ন টাকা নয়ছয় করার বহুল আলোচিত ঘটনায় তদন্তাদেশ স্থগিত করে দেয় আদালত। বিচারের বাণী এখন নিভৃতে কাঁদে। নিম্ন আদালতের অবস্থা আশানারূপ নয়।

তিনি বলেন, এভাবে সর্বস্তরে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ্ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পূর্বের নুরুল হুদা কমিশনের মতো সরকার আজ্ঞাবহ ব্যক্তিদের দিয়েই বর্তমান নির্বাচন কমিশনকেও সাজিয়েছে। বর্তমান আউয়াল কমিশন নিয়োগের বৈধতাই প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বলেন, আইনে পেশাজীবী সংগঠনকে নাম প্রস্তাবের জন্য নির্ধারণ করা হলেও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। আবার, আইনে না থাকলেও প্রজ্ঞাপনে ব্যক্তিকে নাম প্রস্তাবের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সংসদে পাস করা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে আউয়াল কমিশনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত এ আউয়াল কমিশনের অনেক কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। যেমন আরপিও সংশোধন করে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ইলেকশন কমিশনের ক্ষমতা সংকুচিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্ভাব্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বর্তমান ও অতীত রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। নির্বাচনী কর্মকর্তারাই ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত থাকেন। তাদের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সরকার পুলিশের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হচ্ছে যেন কেবল আওয়ামী মতাদর্শের ব্যক্তিরাই এ দায়িত্ব পান, অন্যরা নয়। ইতোমধ্যেই দলীয় নির্বাচন কমিশন সরকারদলীয় নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। দলীয় সরকারের এমন ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী এবং তার নিয়ন্ত্রনাধীন প্রশাসনের দ্বারা নিরপেক্ষ নির্বাচন যে একেবারেই অসম্ভব তার প্রমাণ দেশবাসী গত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষ করেছে।
কাজেই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত কোনক্রমেই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তাছাড়া সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা মোটেই সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, দলনিরপেক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন এবং নির্বাচনী আইন—কানুন, বিধিমালা ও নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।

বিজ্ঞ আলোচক কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, “বর্তমান সরকার প্রশাসনকে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। এ নষ্ট সময় থেকে অতি দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে”।
শিক্ষক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ—উর—রহমান বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী সকলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। অতএব ‘কর্মকর্তা ও কর্মচারী’ কথাটি সঠিক নয়। তিনি বলেন, আগে দেশ বাঁচাতে হবে। দেশের এই চরম শোচনীয় অবস্থায় জরুরী দরকার সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এখন দেশ ‘ইমারজেন্সি’তে আছে। অন্যসব ‘পরীক্ষা নিরীক্ষা’ বাদ দিয়ে দ্রুত সরকারের পতন ঘটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করাটাই এখন প্রধান কাজ”।
পুলিশের সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান বলেন, “আমাদের দেশে বর্তমান প্রচলিত আইনে কোন অপরাধ সংগঠনকারী, আদেশদান বা সহায়তাকারী এবং সেই অপরাধটি নিবারণ বা উদঘাটন করা যার আইনি দায়িত্ব, সেই ব্যক্তি যদি অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে বা উদাসীনভাবে তা করা হতে বিরত থাকে, তাহলে এই তিন ক্যাটাগরীর ব্যক্তিই সমপরিমাণ অপরাধী বলে বিবেচিত হয়। আরেকটি বিষয়, অসৎ উদ্দেশ্যে আইনের অপ বা কু—প্রয়োগকারী, সে যে ব্যক্তি বা সংস্থাই হোক না কেন, সে—ও কিন্তু সম—অপরাধী বলে বিবেচিত হয়”।
সেমিনারের সভাপতি ও সাবেক সচিব মোঃ ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, “প্রশাসনের অনেকেই সরকারের অবৈধ ও অনৈতিক হুকুম তামিল করতে বাধ্য হচ্ছে। পুলিশ ও জনপ্রশাসনে অনেক দেশপ্রেমিক ও দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন। কতিপয় অন্ধ দলকানা অফিসারের কারণে ঢালাওভাবে প্রশাসনের সকলকে দায়ী করা সঠিক নয়। তিনি আশাব্যক্ত করেন যে, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী’ হিসেবে এখন থেকে সকলে বৃহত্তর জনস্বার্থে কেবলমাত্র আইন ও বিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালন করবেন, কোন দলবিশেষের অনুচিত স্বার্থে নয়”। ইসমাইল জবিউল্লাহ আরও বলেন, “ভবিষ্যতে হত্যা, জিঘাংসা বা প্রতিশোধমূলক কোন পদক্ষেপ নয়, শান্তিপূর্ণ পন্থায় সকল সমস্যার সমাধানই সঠিক পথ”।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রীম কোর্টের সাবেক রেজিষ্ট্রার জেনারেল ইকতেদার আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসুদ, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, পুলিশের সাবেক এসপি ড. নাজমুল করিম খান, অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব তৌহিদুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব ড. আব্দুস সবুর, সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি তপন কুমার সাহা, সাবেক যুগ্ম সচিব তপন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক এসপি কাজী মোরতাজ আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বিজন কান্তি সরকার প্রমুখ।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব মোঃ আব্দুর রশীদ সরকার। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম মাহফুজুল হক, সাবেক ডিআইজি শেখ মোঃ সাজ্জাদ আলী, মোঃ মেজবাহুন্নবী, বাহারুল আলম, মোহাম্মদ মাজেদুল হক, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মোহাঃ আবুল কালাম আজাদ এবং এম আকবর আলী।
সাবেক যুগ্ম সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, এস এম শমসের জাকারিয়া, মুন্সি আলাউদ্দিন আল আজাদ, মোঃ আতাউল হক মোল্লা, এ এইচ এম মোস্তাইন বিল্লাহ, মোঃ আব্দুল খালেক, এম এম সুলতান মাহমুদ, মোঃ ফিরোজ খান নুন, মোঃ ওয়াছিম জাব্বার, মোঃ এমদাদুল হক, খন্দকার মোঃ মোখলেছুর রহমান, মোঃ ফেরদৌস আলম, মোঃ ফজলুল করিম, মোঃ আবু তালেব, মোঃ আমিনুল ইসলাম, ড. মোঃ ফেরদৌস হোসেন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন মোগল, মোঃ আফজল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, শহীনুল ইসলাম, সৈয়দ লোকমান আহমেদ, এস এম মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, মোঃ মহিবুল হক, মোঃ ফজলুল হক, মোঃ আজহারুল ইসলাম, সাবেক উপসচিবগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বশীর উদ্দীন আহমেদ, মোঃ নবীউল হক মোল্যা, ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী, কাজী মেরাজ হোসেন, মোহাম্মদ মসিউর রহমান, আব্দুর রহিম মোল্লা, মোঃ শফিক আনোয়ার, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আফতাব আলী, মোঃ জামাল হোসেন মজুমদার, এ বি এম সিরাজুল হক, সাবেক কর কমিশনার ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া, কাজী ইমদাদুল হক, সাবেক উপ সচিব মোঃ জাকির হোসেন কামাল, মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, মোঃ ইলিয়াস, জগন্নাথ দাস খোকন, মোঃ আব্দুল মতিন, এ. কে এম ইহসানুল হক, মোঃ তাজুল ইসলাম মিয়া, তালুকদার সামছুর রহমান, এ এম সাইফুল হাসান।
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ বকতিয়ার আলম, মোঃ ওবায়দুর রহমান খান, শেখ ওমর ফারুক, এম মাহবুব আলম, মোঃ আলমগীর আলম, এস এম কামাল হোসেন। সাবেক পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিঞা, মুহম্মদ শহীদুল্যাহ্ চৌধুরী, মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ আলী হোসেন ফকির, আলী আকবর খান, মোঃ আব্দুল মান্নান পিপিএম, মোহাম্মদ শোয়েব আহম্মদ।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক উপ সচিব মোঃ সামসুল আলম, দুদক সাবেক উপ পরিচালক মোঃ গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপ মহাপরিচালক, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মোঃ শাহবুদ্দীন, প্রকৌশলী মোঃ হানিফ সিনিঃ সহঃ প্রকৌশলী, বিলুপ্ত ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কতৃর্পক্ষ, সৈয়দ মোহাম্মদ হোসাইন সাবেক অধ্যক্ষ, দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, অধ্যাপক ডাঃ খন্দকার জিয়াউল ইসলাম জিয়া, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ভিট্রিও—রেটিনা, বিএসএমএমইউ, মোঃ মহব্বত হোসেন সাবেক অধ্যক্ষ, আমলা সরকারী কলেজ, কুষ্টিয়া, মোঃ আখতারুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ডাঃ এ কে এম মহিউদ্দিন ভূইয়া কনসালটেন্ট, মাহফুজুল ইসলাম, কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর কবির, জালাল উদ্দিন আহমেদ, গোলাম মরতোজা সাবেক ম্যানেজার, বিসিআইসি ভবন, মতিঝিল, ড. মো. জিয়াউল ইসলাম মুন্না সাবেক পরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ, মোঃ জাকির হোসেন জামাল সাবেক অধ্যক্ষ, মোঃ সফিউল আহাদ সরদার সাবেক পরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা এ্যাড. নূরুল ইসলাম জাহিদ, তারেকুল ইসলাম (মঈন), গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ শরিফুল ইসলাম, কামরুল হোসেন, মিসেস মাহফুজা আক্তার, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল আলিম, কে এম তৌহিদুল ইসলাম, এম মোরশেদুল করিম, মাহবুব আল জাহান (লিটন), মনিরুজ্জামান খান, সায়িদ আহমদ (সাইক্লোন), মোহাম্মদ নাছির খান, মোহাম্মদ হারুন আর রশিদ, মোঃ ওয়ালিদ হোসেন, মোঃ জাহিদুল ইসলাম সুমন, মোঃ রকিব উদ্দিন এবং মোঃ আলিউর রেজা সাবেক জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রমুখ।