‘সাংগঠনিক কর্মকান্ড নয় এবার শুধু বন্যার্তদের পাশে থাকবে বিএনপি ‘

আপডেট: জুন ১৯, ২০২২
0

ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দলে সাংগঠনিক কর্মকান্ডের চাইতে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোকেই অগ্রাধিকার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

রোববার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এক যৌথ সভার পর জাতীয় ত্রাণ কমিটির প্রধান স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, বন্যা পরিস্থিতির বিষয় আমরা যেন সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেই। সাংগঠনিক কাজ-কর্মের চাইতে এখন আমাদের একমাত্র অগ্রাধিকার ভানবাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জন্য কাজ করা। এটা আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ।”

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান, ‘‘সিলেট মহানগর, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, ছাতকসহ বিভিন্ন এলাকায় আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা রিলিফ অপারেশন শুরু করেছে। সিলেট থেকে এখন পর্যন্ত যে রিপোর্ট পেয়েছি আমরা ১০ হাজার লোকের কাছে খাবার পৌঁছিয়ে দিয়েছে। বড় বড় নৌ্কা ভাড়া করে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে। সেখানে প্রায় আমাদের ‘শ খানেক নৌ্কা কাজ করছে।”

‘‘ ছাতকে বন্যা কবলিত এলাকায় আমাদের নেতা-কর্মীরা নিজেরা টাকা তুলে ১০ লাখ তুলে মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে। এভাবে বিএনপি গণমানুষের দল হিসেবে আমরা মানুষের পাশে আছি।”

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘ এবারের বন্যা পরিস্থিতিকে আমরা তিনভাবে ভাগ করেছি। এখন যারা পানি বন্দি মানুষজন আছেন তাদেরকে উদ্ধার করে তাদের কাছে খাবার পৌঁছিয়ে দেয়া। বন্যা পানি চলে গেলে মানুষজনের গৃহ নির্মাণ, তাদের খাবার-দাওয়া ও ঔষধপত্র বিতরণ করবে।”

‘‘ কৃষি জমি তলিয়ে গেছে বন্যায়। যাতে পানি নেমে গে্লে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারে সেজন্য কৃষক বীজতলা তৈরি করে তাদের সরবারহ করবে। ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন রোগ বালাইয়ের চিকিতসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ, বিশুদ্ধ পানির টেবলেট বিতরণ করবে। আমরা চেষ্টা করব সকল বন্যার্তদের পাশে পৌঁছানোর।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে টুকু বলেন, ‘‘ এই সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঘোষণা করে ২০ লক্ষ টাকা আর কয়েক লক্ষ টন চাল বরাদ্ধ পেয়েছে সিলেটের জন্য। এটা আমি মনে করি যে, জনগনের সাথে ব্যাঙ্গ করা। ব্যাঙ্গ তারা করতেই পারে কারণ তাদের তো জনগনের ভোটের প্রয়োজন হয় না, জনগনের সেবার করারও প্রয়োজন হয় না। তাচ্ছিল্য করে তারা রিলিফ দিচ্ছে।”

সকল অঙ্গসংগঠনকে আলাদা আলাদাভাবে স্ট্যায়ারিং কমিটি করে প্রতিটি সংগঠনের ত্রাণ কার্য্ক্রম তদারিক করার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।

বৈঠকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র দলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।