সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করছে আওয়ামী লীগ

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২
0

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামায়াতের সকল অপপ্রচারকে প্রতিহত করতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। তাদরে সকল গুজব আমাদের প্রতিহত করতে হবে। এর সাথে তাদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে প্রতিহত করেতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমারা আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করবো। আমাদের নিজেদের মাঝের সকল মতবিরোধ দূর করতে হবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করছে ক্ষমতাশীন দল। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের সভায় খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়।

এর অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার সম্মেলন হবে শীগ্রই। জেলা সম্মেলনের আগে জেলার অন্তর্গত মেয়াদোত্তীর্ন উপজেলার সম্মেলন হবে। মাগুরা জেলার সকল উপজেলার সম্মেলন হওয়ায় মার্চ মাসের মধ্যেই মাগুরা জেলার সম্মেলন হবে।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মলে বলেন, ইতিপূর্বে আমরা অনেক গুলো জেলায় বর্ধিত সভা করেছি। বর্ধিত সভা প্রথমে আমরা করেছিলাম মেহেরপুর জেলায়। সে সময় আমরা জেলার সব গুলো উপজেলায়ও সম্মেলনের ডেট ঠিক করে দিয়েছিলাম। এরপর মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহ জেলায় বর্ধিত সভা করে জেলা-উপজেলার সম্মেলনের ডেট ঠিক করি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ও নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সঠিক সময়ে কাউন্সিল করতে পারিনি।

আজকের এ সভায় এই ৪টি জেলার সম্মেলনের তারিখ এবং এর বাহিরে যে ৭টি জেলায় সম্মেলন ও কমিটি হয়েছে সেগুলোর মধ্যে যে সকল উপজেলায় সম্মেলন বাকি আছে সে গুলোর তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি নতুন ৪টি জেলার সম্মেলন আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবো। আর ৭টি জেলার যে উপজেলা বাকি আছে সেগুলো এপ্রিল মাসে রমজানের আগে ও পরে সম্পন্ন করতে পারবো।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লা বলেন, গণতন্ত্রকে যারা বিশ্বাস করে তাদের প্রথমে রয়েছে আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্রকে মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ৭জন কর্মকর্তার নামে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এটা নতুন কিছু না। এর আগেও তারা বহুবার এ কাজ করেছে। বাস্তবে আমাদের এটা বুঝতে হবে দেশের জনগণ এ বিষয়ে কি ভাবছে। র্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে বিএনপি সরকার। র্যাবের ট্রেনিং, অস্ত্র সব কিছু যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসছে। দেশের জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করেই আওয়ামী লীগ কাজ করে, এগিয়ে যায়।

সভায় উপস্থিত আরও দলটির উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, আমিরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।