সাগু নদীতে মৎস অভয়াশ্রম করার পরিকল্পনা

আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২২
0

জেলা সংবাদদাতা, বান্দরবান ।
আজ সাংগু নদীতে একটি মৎস্য অভয়াশ্রম গড়ে তোলার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সাবরিনা আফরিন মুস্তাফার নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সার্ভেয়ারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়।পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সাংগু নদী থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মৎস সম্পদ আহরণ করা সম্ভব বলে ধারণা করা হয়।

সাংগু নদী বা শঙ্খ নদী, বাংলাদেশের পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৯৪ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১১৯ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক সাঙ্গু নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী নং ১৫।১৮৬০ সালে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের গেজেটিয়ার প্রকাশকালে ব্রিটিশ শাসকরা ইংরেজিতে এটিকে সাঙ্গু নাম দেন তবে মারমা সম্প্রদায়ের ভাষায় শঙ্খকে রিগ্রাই থিয়াং অর্থাৎ স্বচ্ছ পানির নদ বলা হয়। বান্দরবানের শঙ্খ-তীরবর্তী লােকজনের ৯০ শতাংশই মারমা। জীবন-জীবিকাসহ দৈনন্দিন কাজে নদীটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়।

নদীটি দেশের দক্ষিণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত একটি পাহাড়ি নদী। কর্নফুলীর পর এটি চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী।বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে কয়টি নদীর উৎপত্তি তার মধ্যে সাঙ্গু নদী অন্যতম।মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার মদক এলাকার পাহাড়ে এ নদীর জন্ম। বান্দরবান জেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, আনােয়ারা ও বাঁশখালীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে।উৎসমুখ হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এই নদীর দৈর্ঘ্য ১৭০ কিলোমিটার।
সাঙ্গু নদী বান্দরবান জেলার প্রধানতম নদী। বান্দরবান জেলা শহরও এ নদীর তীরে অবস্থিত। এ জেলার জীবন–জীবিকার সাথে সাঙ্গু নদী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বান্দরবানের পাহাড়ি জনপদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ নদী একটি অন্যতম মাধ্যম।