অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার : স্বামী নোবেলকে আসামি করে মামলা

আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২২
0

ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে কেরাণীগঞ্জের আলিপুর ব্রিজের কাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সোমবার দিবাগত রাতে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালাম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওসি সালাম মিয়া বলেন, ‘মরদেহটি টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে খণ্ডিত অংশগুলো ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের গলায় একটি দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজি রমজানুল হক বলেন, ‘শিমু কলাবাগান এলাকার বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর কলাবাগান থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। তবে, এখনও কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।’

জানা গেছে, গত রবিবার সকাল থেকে শিমু নিখোঁজ ছিলেন। তারপর পরিবারের পক্ষ থেকে নানা স্থানে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। পরে কলাবাগান থানায় জিডি করা হয়। একদিন পর সোমবার তার মরদেহ পাওয়া গেছে।

সোমবার সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালে লাশ শনাক্ত করেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। এরপর শিমুর স্বামী নোবেলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন শহিদুল ইসলাম খোকন। ওই মামলায় নোবেলের বন্ধু ফরহাদকেও আসামি করা হয়েছে।

অভিনেত্রী শিমুর বোন ফাতেমা জানান, রবিবার সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হয় শিমু। সন্ধ্যা ৭টায় শিমুর এক বন্ধু শিমুকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। পরে রাত ১১টায় কলাবাগান থানায় যায় জিডি করা হয়।