সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ হতাহতের ঘটনায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শোক

আপডেট: জুন ৬, ২০২২
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও ব্যাপক জান-মালের ক্ষতিসহ ৩৪ জন নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ ডিপোতে কর্মরত শ্রমিক, বিভিন্ন লরী-ট্রাকের চালক-হেল্পার, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নেতৃবৃন্দ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে সকল নিহতদের জন্য বিশেষ ভাবে মুনাজাত করেন ও তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করে জান্নাতুল ফেরদৌস ও আত্মীয়স্বজনকে ধৈর্য ধরার শক্তি দান করার জন্য দোয়া করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল শনিবার রাত ১০ টার দিকে যে ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটনা সংগঠিত হয়েছে তা দফায় দফায় বিস্ফোরনের মাধ্যমে ডিপোর বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট, সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনি আগুন নিভানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের সাথে স্থানীয় অধিবাসীরা যোগ দিয়েছে।

শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম জেলা উত্তরের বিভিন্ন উপজেলা, ট্রেড ইউনিয়নের সকল নেতাকর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য উদ্ধার তৎপরতা চালানোর নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে সিতাকুন্ডের অগ্নিকান্ড আহতদের ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সিতাকুন্ডের অগ্নিকান্ড স্মরণ কালের সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের অন্যতম হিসেবে চিহ্নিত হবে। এই দুর্ঘটনা সারাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের জীবন নিরাপত্তা কতটা দুর্বল তা দেখিয়ে দিলো। আমরা অতীতে বারবার বলেছি মালিক সরকার মিলে শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সরকার অতীতের বড়ো বড়ো দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা না নেওয়ার ফলে আমাদেরকে একের পর এক দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। অসংখ্য শ্রমিককে কিছুদিন পরপর জীবন দিতে হচ্ছে।

আহত-পঙ্গুত্ববরণ করে লাখো লাখো শ্রমিক ও তার পরিবারকে পথে বসে যেতে হচ্ছে। তবুও সরকারের টনক নড়ছে না। আমরা সরকারের কাছে আবারও স্পষ্টভাষায় দাবি করছি অগ্নিকা-ন্ডর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করুন। তদন্ত রিপোর্টের আলোকে যাদের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করুন। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করণীয় ঠিক করুন এবং দুর্ঘটনা সংঘটিত হলে যেনো দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা চালানো যায় সেজন্য ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিকায়ন করুন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সীতাকু-ে ভয়াবহ বিস্ফোরন ও অগ্নিকা-ে যারা নিহত হয়েছেন তাদেরকে আইএলও নীতিমালা অনুযায়ী উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। পঙ্গুত্ববরণকারী শ্রমিক পরিবারের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।