সীমান্ত হত্যা ও ভারতের ত্রিপুরায় মুসলিমদের ওপর নির্যাতন- মসজিদে অগ্নি সংযোগে বিএনপির প্রতিবাদ

আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১
0

সীমান্ত হত্যা ও ভারতের ত্রিপুরায় মুসলিমদের ওপর নির্যাতন- মসজিদে অগ্নি সংযোগে প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী বিএনপির। সোমবার রাত ৮টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের হাইকমান্ড।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য যথাক্রমে ১. ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
২. ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ৩. মির্জা আব্বাস ৪. বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়
৫. ড. আব্দুল মঈন খান ৬. নজরুল ইসলাম খান ৭. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
৮. আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ৯. বেগম সেলিমা রহমান
১০.ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

সভায়, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কতৃক সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিককের হত্যা একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা নিঃসন্ধেহে মানবাধিকারের চরম লংঘণ। এই ধরনের নিকৃষ্ট হত্যাকান্ড নিয়মিত ভাবে পৃথিবীর কোন সীমান্তে সংঘটিত হয় না।

সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারনেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হচ্ছে বলে সভা মনে করে। সভায় এই হত্যাকান্ডে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে এই ধরনের অমানবিক হত্যাকান্ড বন্ধ করার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়।

অপর দিকে এক সপ্তাহের বেশী সময় যাবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, মসজিদে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিকট বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি উপস্থাপন ও বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়।