১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃংখলিত হয়েছে–তারেক রহমান

আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১
0

শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিম্নোক্ত এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বক্তব্য গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন , ”শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নুর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে ’গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ শ্লোগান লিখে। গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কন্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নুর হোসেন। নুর হোসেনের সে অবদান বৃথা যায়নি।

নুর হোসেনকে হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল স্বৈরশাসক গোষ্ঠী। কিন্তু নুর হোসেনের রক্তের ধারা বেয়েই ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।

তবে যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে নুর হোসেন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁর সে স্বপ্ন আজো পুরোপুরি সফল হয়নি। ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃংখলিত হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে একতরফা নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে। ষড়যন্ত্র চলছে এদেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থার নব্য সংস্করণ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে।

আজকের এই দিনে আমি দল-মত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানাই-আসুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।