সুপারমুন পূর্ণগ্রাস কাল ২৬ মে

আপডেট: মে ২৫, ২০২১
0

২৬ মে, বিশেষ দিন। একইসাথে দেখা যাবে সুপারমুন আর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
দুয়ের এই যোগ ঘটে প্রতি আড়াই বছরে একবার। ১৪-১৫ মিনিট স্থায়ী হবে এই ঘটনা।
আর এবছর ৪ বার সুপারমুন দেখা যাবে।

চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, ফলে চাঁদ স্বাভাবিকের চাইতে বড় ও উজ্জল দেখা যায়। এ কারণে একে সুপারমুন বলা হয়। এবারের সুপারমুন স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫% উজ্জল ও ৪% বড় হবে বলে জোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন।

মে মাসে অনেক ফুল ফোটে। উত্তর গোলার্ধে এখন বসন্তকাল চলছে। তাই এবারের সুপার মুনকে বলা হবে ‘সুপার ফ্লাওয়ার ব্লাড মুন’। উপচ্ছায়ায় চাঁদের প্রবেশের মাধ্যমে গ্রহণটি শুরু হবে দুপুর পৌনে তিনটার পর। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশে চন্দ্রোদয়ের পর থেকে গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত দেখা যাবে।

গ্রহণটি ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে ৭টা ৫১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে। ময়মনসিংহে সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে শুরু হয়ে শেষ হবে ৭টা ৫৩ মিনিটে। চট্টগ্রামে সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট ১৮ সেকেন্ড শুরু হয়ে শেষ হবে ৭টা ৪২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে শুরু হয়ে শেষ হবে ৭টা ৪৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। খুলনায় সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটি ২৪ সেকেন্ডে শুরু হয়ে শেষ হবে ৭টা ৫২ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে।

এছাড়া বরিশালে সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে ৭টা ৫৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে। রাজশাহীতে সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে শুরু হয়ে শেষ হবে ৭টা ৫৯ মিনিট ১২ সেকেন্ডে ও রংপুরে গ্রহণ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে শুরু হয়ে শেষ হবে ৭টা ৫৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে।

কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৫টা ১৮ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে টোঙ্গা থেকে পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে। পূর্ণগ্রহণ থেকে চাঁদের নির্গমন হবে বিকেল ৫টা ২৮ মিনিটে টোঙ্গার নুকুয়ালোফা দ্বীপ থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে। প্রচ্ছায়া থেকে চাঁদের নির্গমন হবে সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে যুক্তরাষ্ট্রের লয়ালটি আইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে। আর উপচ্ছায়া থেকে চাঁদের নির্গমন হবে সন্ধ্যা ৭টা ৫১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে ম্যাকাও থেকে পশ্চিম দিকে কোরাল দ্বীপে।

চন্দ্রগ্রহণ হয় যখন চাঁদ আর সূর্যের মাঝখানে থাকে পৃথিবীর অবস্থান। পৃথিবী তখন আলোর উৎস বন্ধ করে দেয়। এ সময় আমরা দেখি চাঁদের পিঠে পৃথিবীর ছায়া।

আইএসির একটি প্রশিক্ষণ পুস্তিকায় বলা হয়েছে, ‘সূর্যগ্রহণ কেমন দেখা যাবে সেটা নির্ভর করছে যে দেখছে তার ভৌগলিক অবস্থানের ওপর। কিন্তু চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে ঘটে উল্টোটা, পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে যদি গ্রহণের সময় চাঁদ দিগন্তের উপরে উঠে আসে।’