সৈয়দপুরে পৌর নির্বাচন প্রহসন দাবী করে রাতে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি

আপডেট: মার্চ ১, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচন কে প্রহসন আখ্যা দিয়ে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে রাজনৈতিক জেলা বিএনপি। ২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়ে সংবা সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

জেলা কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. এস এম ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক কাজী একরামুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, সদস্য শফিকুল ইসলাম জনি, ধানের শীষের প্রার্থী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাজী রশিদুল হক সরকার প্রমুখ।

আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার বলেন, আজ সৈয়দপুরে পৌরসভার নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হলো। এটি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন ছিলো। আমি ধানের শীষের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে প্রায় ভোট কেন্দ্রে গিয়েছি। সবখানেই দেখলাম আওয়ামীলীগের লোকজন নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে কেন্দ্রের ভিতরে বাহিরে নির্বাচনী সকল আচরণ বিধি উপেক্ষা করে নৌকা নৌকা বলে উচ্চস্বরে মিছিল করছে।

এমনকি বুথেও তারা অবাধে ঢুকে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে অবস্থান নিয়ে একতরফা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। এভাবে ভোটারদেরকেও তাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক মা বোন তাদের এমন হেনস্থার শিকার হয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে এসেছেন।

এসব নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে তারা বলেন দেখেছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুলিশকে বললে তারা দেখতেছি বলে বিষয়টা এড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শেষাবধি তারা কিছুই করেনি। এভাবে চরম এক ডাকাতির মত নির্বাচন হলো।
তিনি আরও বলেন, কোন কোন কেন্দ্রে বিএনপি’র লোকরা এর প্রতিবাদ করলে নৌকার সমর্থকরা মারমুখী হয়েছে। কয়েক জায়গায় তো মেরে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে।

এমনকি আমি নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে গেলেও নৌকার লোকজনই আমাকে বাধা দিয়ে এখানে কেন বলে প্রশ্ন তুলেছে। অথচ তারা কে বা কেন দলবদ্ধভাবে বুথে অবস্থান করছেন এমন পাল্টা প্রশ্ন করলে তারা বলেছে আমরা নৌকার লোক। আমাদেরই তো ভোট, আমরাই তো কেন্দ্রে থাকবো। এরকম করে তারা অহমিকার সাথে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করেছে। এটা ভোটের নামে তামাশা করা হয়েছে। এমন ভোট সৈয়দপুরের জনগন কোন দিনও প্রত্যাশা করেনি। অথচ তারা তাই করলো। সৈয়দপুরবাসী যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারতো তাহলে আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হতো।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিদ্দিকুল আলমের বৃদ্ধা মা সহ পরিবারের লোকজন ভোট দিতে পারেনি। একারনে সে সাথে সাথেই কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের মারধর ও ইভিএমের কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন। আমরা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের নীতি হলো আমরা দেখতে চাই শেষ পর্যন্ত তারা কত বেশী প্রহসন করতে পারে। জাতির কাছে তাদের এ প্রহসনটা তুলে ধরার জন্যই আমরা ওয়াকআউট করি নাই। আসলে কোন নির্বাচনই হয়নি। আমরা জানিনা আওয়ামীলীগ এভাবে ভোটের নামে এদেশের মানুষকে অন্ধকারে রাখবে বা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করবে। আমার মনে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। এ সরকার এভাবে ক্ষমতায় গিয়ে জনগনের সম্পদ ও অধিকার কেড়ে নিয়ে লুটপাটের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। লুট করাই তাদের মুখ্য বিষয়। আমরা এ প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল মানিনা। সৈয়দপুরবাসী এটা মানবেনা। তাই আমরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি।