স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুল ইসলাম নিরবকে কারাগারের মধ্যেও বর্বরোচিত নির্যাতন করছে —রিজভী

আপডেট: মে ১০, ২০২৩
0

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ”স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রভাব খাটিয়ে সাইফুল ইসলাম নিরবকে কারাগারের মধ্যেও বর্বরোচিত নির্যাতন করছে এর জবাবদিহীতা তাকে করতে হবে।
আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অবিযোগ করেছেন।
যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবকে ২৪ ঘন্টা লকআপে রাখা হয়েছে। কেন তার ওপর এই বর্বরোচিত আচরণ তা জেল কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে হবে। এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে জেলের ছোট্ট কক্ষে দিনরাত পার করতে হচ্ছে সাইফুল আলম নীরবকে। এটি সুষ্পষ্ট যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রভাব খাটিয়ে সাইফুল আলম নীরবকে কারাগারের মধ্যে যন্ত্রণা দিচ্ছেন।

কারণ একই নির্বাচনী এলাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে বিএনপি’র প্রার্থী হন সাইফুল আলম নীরব। রাজনৈতিক প্রতিশোধের শিকার হয়েছেন ডায়াবেটিসসহ নানা অসুখে জর্জরিত সাইফুল আলম নীরব।
একইভাবে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে কারাগারে আটকিয়ে রাখতে একের পর এক গায়েবী মামলা দেয়া হচ্ছে। যে সকল মামলার সাথে মুন্নার লেশমাত্র সম্পর্ক ছিল না। কারাজীবন প্রলম্বিত করার জন্যই অবৈধ সরকার মুন্নার ওপর বহুমাত্রিক নিপীড়ণ নামিয়ে এনেছে। যুবসমাজকে টার্গেট করেই মুন্নাকে কারান্তরীণ করা হয়েছে যাতে তারুণ্যের ঢল রাজপথে উপচে পড়তে না পারে। বর্তমান অবৈধ সরকার অশুভ উদ্দেশ্য নিয়েই কোন মামলা না থাকলেও মুন্নাকে গ্রেফতার করে।

ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির জামিনে মুক্তি পেলেও তাকে বারবার কারাফটক থেকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে আমি দৃঢ়কন্ঠে বলতে চাই-সাইফুল আলম নীরব, মোনায়েম মুন্না, কমিশনার হারুনুর রশীদ, এস এম জাহাঙ্গীর, ইউসুফ বিন জলিল, গোলাম মাওলা শাহীন, রফিক হাওলাদার, আজিজুর রহমান মুসাব্বির, আসিফসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার রেখে শেখ হাসিনা রাজনীতির ময়দান শান্ত, নিরাপদ ও সুখময় করতে পারবেন না। আমি অবিলম্বে উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি। কারাগারে তাদের ওপর নিপীড়ণ-নির্যাতন বন্ধেরও আহবান জানাচ্ছি।