হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বড়জুম গ্রামে বেআইনী সালিশে নারীকে বর্বরভাবে বেত্রাঘাত, পাথর নিক্ষেপ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতি প্রদান করেছে।
আজ ৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় যে, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বড়জুম গ্রামে বেআইনী সালিশে নারীকে বর্বরভাবে ৮২টি বেত্রাঘাত ও ৮০টি পাথর নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী ওমানপ্রবাসী। দুই বছর আগে স্থানীয় এক অটোরিকশাচালক আবুল কালামের সাথে ওই নারীর পরিচয় হয়। ওই নারীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় আবুল কালাম ।
বিষয়টি এলাকার লোকজন জানতে পারলে দুজনের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক থাকার অভিযোগ তোলে। গত ৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিশে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে ওই নারীকে ৮২ টি বেত্রাঘাত ও ৮০টি পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নির্যাতনের শিকার ওই নারী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সালিশে মাতবররা ওই নারীকে এক মাস ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করে। এ ঘটনায় ওই নারী চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বেআইনী সালিশে ফতোয়া, নারীকে নির্মম ও বর্বর নির্যাতন, বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাসহ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। ঘটনার শিকার নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের সুচিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশিচতকরণের দাবি জানাচ্ছে। সেই সাথে বেআইনী সালিশে ফতোয়া, বিচার বহির্ভূত শাস্তি বন্ধে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রায়ের যথাযথ বাস্তবায়নের অনুরোধ জানাচ্ছে। পাশাপাশি এ ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছে।
