হাজারো তরুণের অংশগ্রহণে শেষ হলো গ্রামীনফোনের ‘চলো বাংলাদেশ কনসার্ট’

আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২৩
0


[ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩]

হাজারো সংগীতপ্রেমীর অংশগ্রহণে সম্প্রতি শেষ হলো গ্রামীনফোনের আয়োজনে ‘চলো বাংলাদেশ কনসার্ট’। কনসার্ট-এ প্রিতম ও হাবিব ওয়াহিদ থেকে শুরু করে দেশখ্যাত ব্যান্ড আর্টসেল, ওয়ারফেজসহ ১০টিরও বেশি ব্যান্ড উপস্থিত ছিলো।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে টাইগারদের গর্জনের মতোই ভক্তরা কনসার্টে উচ্চকণ্ঠে গান গেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ও দেশ নিয়ে তাদের গর্বের জানান দেন। সুরের মূর্ছনায় সাক্ষী হতে আর্মি স্টেডিয়ামে জড়ো হয় হাজারো সংগীতপ্রেমী। এ সময় সম্মাননা জানানো হয় মার্স রোভার দল, ফ্রিল্যান্সার ও গেমিং কমিউনিটির প্রতি।

ক্রিকেটের বাইরেও চলো বাংলাদেশের উন্মাদনা বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে গ্রামীণফোনের। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান ‘চলো বাংলাদেশ একাদশ’ নামে একটি একাদশ গঠনের ঘোষণা দেন, সুপারস্টার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে যে একাদশে থাকবেন ১০ তরুণ, যারা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন। গ্রামীণফোনের এ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নবযুগের এমন সব বীরদের সাফল্যগাথা সবার সামনে তুলে ধরা হবে।

বাংলা পপ ও হিপহপের রোমাঞ্চকে নতুন মাত্রা দিতে কনসার্টে একসাথে পারফর্ম করেন রাফা ও হাসান এবং হাবিব ওয়াহিদ ও ব্ল্যাক জ্যাং। পাশাপাশি, ছিল ক্রিপ্টিক ফেইটের প্রাণবন্ত পারফরমেন্স এবং আর্টসেল ও ওয়ারফেজের সাথে তাদের ট্রিবিউট সেশন, যা দেশের মেটাল সঙ্গীতের সম্ভাবনারই অনন্য নির্দশন। কনসার্টে হিপহপ থেকে মেটাল, সকল সংগীতপ্রেমীদের জন্য ছিল শিল্পীদের দুর্দান্ত পরিবেশনা। কনসার্টে গ্রামীণফোন প্রাইমের জন্য নতুন গান গেয়ে শোনান প্রীতম হাসান, অন্যদিকে নেমেসিস ও পান্থ কানাই তাদের সব জনপ্রিয় গান দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন শ্রোতা ও দর্শকদের।

কনসার্টে বাংলাদেশের সংগীতের অনন্য কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়, যা একইসাথে রক মিউজিশিয়ান ও শ্রোতা-দর্শকদের গভীর আবেগে উদ্বেলিত করে। স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় শিল্পীদের সমন্বিত পারফরমেন্স দেশের সঙ্গীত পরিসরকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরে, হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে কনসার্টে অংশগ্রহণকারীদের।

গ্রামীণফোনের চলো বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজিত চলো বাংলাদেশ কনসার্টের মাধ্যমে দেশের তরুণরা দেশের বীরদের অর্জন উদযাপনে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের ভূমিকা উদযাপনের সুযোগ লাভ করে। এ ক্যাম্পেইনের মধ্যে আরও রয়েছে বিশ্বকাপের ম্যাচ লাইভ স্ট্রিমিং করার মতো আকর্ষণীয় নানা কার্যক্রম।