হামাস যোদ্ধারা এখনো ইসরাইলের ভেতরে বিভিন্ন এলাকায় লড়াই করছে

আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২৩
0

গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস যোদ্ধারা এখনো ইসরাইলের ভেতরে বিভিন্ন এলাকায় লড়াই করে যাচ্ছে। শনিবার ভোরে শুরু হওয়া লড়াইয়ে এ পর্যন্ত তিন শতাধিক ইসরাইলি নিহত হয়েছে। আর গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৩২ ফিলিস্তিনি। হামাসের এই হামলায় হতচকিত হয়ে পড়েছে ইসরাইল। হামাস বিপুলসংখ্যক ইসরাইলি সেনাসদস্য ও বেসামরিক নাগরিককে বন্দী করেছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত ১.৩০টাতেও (জিএমটি ১০:৩০, বাংলাদেশ সময় ভোর ৪:৩০) লড়াই চলছিল। আর দেশটি তখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আর গাজাতে ইসরাইল বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল-অ্যারোই আল জাজিরাকে বলেছেন, হামাসের হাতে এখন বিপুলসংখ্যক ইসরাইলি বন্দী রয়েছে। বন্দীদের মধ্যে সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছে। তিনি বলেন, ইসরাইলি কারাগারে আটক সকল ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করতে এই বন্দীরাই যথেষ্ট।

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যা ও বন্দী করতে পেরেছি।’

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, গাজা থেকে যে হামলা শুরু হয়েছে তা অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং জেরুসালেমেও বিস্তৃত হবে।

তিনি বলেন, ‘এটা হলো আমাদের শত্রুদের, তাদের সৈন্যদের এবং বসতি স্থাপনকারীদের পরাজয়ের এবং বিপর্যয়ের সকাল।’

শনিবার এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘যা ঘটেছে, তা আমাদের প্রস্তুতির শ্রেষ্ঠত্ব। আজ যা ঘটেছে, তা শত্রুদের দুর্বলতার প্রকাশ।’

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল-অ্যারোরি আল জাজিরাকে বলেছেন, হামাস বিপুলসংখ্যক ইসরাইলি বন্দীকে আটকে রেখেছে। এদের মধ্যে সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার রাতে ঘোষণা করেছেন যে ইসরাইল ‘এই কালো দিনের ভয়াবহ প্রতিশোধ নেবে।’

ইসরাইল ইতোমধ্যেই গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা শুরু করেছে। গাজা সিটির বেশ কয়েকটি ভবন তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী হাজার হাজার রিজার্ভিস্টকে জড়ো করেছে। তারা গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরাইলের জ্বালানি ও অবকাঠামোবিষয়ক মন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, ইসরাইল গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।

সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি এবং অন্যান্য