হেরে গেছে ভারত : মেহেদী হাসান মিরাজ বাংলাদেশের জয়ের নায়ক

আপডেট: ডিসেম্বর ৪, ২০২২
0

ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে দল ১ উইকেটে জয় পেয়েছে  বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
হেরে গেছে ভারত, ১ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ বাংলাদেশের জয়ের নায়ক। নিরাশার সাগরে হাবুডুবু খেয়েও কোনোরকমে তীরে এসে ভিড়েছে জয়ের নৌকা।

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা স্রোতের বিপরীতে দলকে টানতে না পারলেও পেরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। যখন অনেকেই শোকগল্প লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছে, আরো একবার হতাশায় মুড়িয়ে যাবার বেদনায় বিধূর হচ্ছে, তখন নতুন করে গল্পটাকে সাজিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মোস্তাফিজকে সাথে নিয়ে ১০ম উইকেট জুটিতে রেকর্ড গড়ে ভারতের বিপক্ষে ১ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন মিরাজ।

এদিকে বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও মিরপুর যেন এখনো ঘোর রহস্যে ঘেরা। শতাধিক ম্যাচ খেলেও এখনো টাইগাররা খুঁজে পাচ্ছে না এই রহস্যের কূলকিনারা। সুবাদে আজ আরো একবার বাংলাদেশকে হাবুডুবু খাইয়ে ছেড়েছে শের-ই-বাংলার মাটি। ১৮৭ রানের ছোট লক্ষ্যও যেন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। একটা সময় মনে হচ্ছিলো বোধহয় হেরেই গেছি।

লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের অধ্যায়টা বিজয় আর লিটনের দাঁতে দাঁত কামড়ে ধরা লড়াইয়ের। তবে জীবন পেয়েও সদ্ব্যবহার করতে পারেননি বিজয়, দলকে বিপদে ফেলে ফিরেন পাওয়ার প্লে শেষ হবার আগেই। তার ব্যাটে আসে ১৪ রান।

পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কাঁপতে থাকে দল। তবে অধিনায়কের মতোই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলের হাল ধরেন লিটন দাস। সাকিব আল হাসানকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেন ৬২ বলে ৪৭ রানের জুটি। তবে ৬১ বলে ৪৩ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার হন লিটন দাস। ওয়াশিংটন সুন্দরের দ্বিতীয় শিকার সাকিব আল হাসান। দুর্দান্ত খেলতে থাকা এই অলরাউন্ডার বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে ফিরেন ৩৮ বলে ২৯ রান করে।

৯৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফের বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে তখনো মাঠে দুই ভাইরা-ভাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। তবে দু’জন এদিন স্রোতের বিপরীতে দলকে টানতে পারেনি। বরং স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে দলকে আরো পিছিয়ে দিয়েছে সময়ের সাথে সাথে। ২৩.২ ওভারে ৯৫ রান থেকে ৩৫ ওভারে ১২৮। দুজনে মিলে খেলেছেন মোট ৮০ বল, যেখান থেকে দু’জনের সংগ্রহ মোটে ৩২ রান! ছিল না কোন চার-ছক্কার মার। শুধু তাই নয়, পর পর দুই বলে দুইজন আউট হয়ে আরো ব্যাকফুটে ঠেলে দেন দলকে।