আন্দোলনে পেশাজীবীদের রাস্তায় নামতে মির্জা ফখরুলের আহবান

আপডেট: ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
0

আন্দোলনে পেশাজীবীদের রাস্তায় নামার আহবান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুর পেশাজীবীদের এক মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব এই আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘‘আমি পেশাজীবীদের প্রতি আহবান জানাতে চাই, আসুন আর কাল বিলম্ব নয়, জনগন বেরিয়ে এসছে। আমরা বিশ্বাস করি সব জনগনই বেরিয়ে আসবে, আরো বেশি করে আসবে। পেশাজীবী ভাইরাও এগিয়ে আসবেন আরো বেশি, আরো শক্তির সঙ্গে।”
‘‘ তখন নিসন্দেহে আমরা আন্দোলন শুরু করতে পারবো। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারকে বাধ্য করতে পারবো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিতসার জন্য পাঠাতে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আজকের এই আন্দোলন শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন নয়, আজকের এই আন্দোলন হচ্ছে সমগ্র দেশের, সমগ্র জাতির মুক্তির আন্দোলন। আমাদের গণতন্ত্র ধবংস হয়ে গেছে, আমাদের সমস্ত স্বপ্নগুলো যা এতোদিন আমরা অর্জন করেছিলাম তাকে ধবংস করা হয়েছে।”
‘‘ আজকে সেই কারণে আমরা জনগনকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ঐক্যের মধ্য দিয়ে, সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের মধ্যে দিয়ে একটা দূর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলি। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট ভয়াবহ দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে পারবো এবং তাদেরকে বাধ্য করবো যে তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার চিকিতসা এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।”
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি গুরুতর অসুস্থ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দা্বিতে এই মানববন্ধন হয়।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘উপরে আল্লাহ আছেন আর নিচে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ। তার দোয়ায় ও আর্শীবাদে বেগম জিয়া সুস্থ হবেন এবং ফিরে আসবেন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে। আমি আপনাদের বলছি-যে লড়াই আপনারা শুরু করেছেন তার সুচিকিতসার জন্যে, তার মুক্তির জন্যে এই লড়াই অব্যাহত রাখেন।”
‘‘তারা(সরকার) যেমন ধরা খেতে শুরু করেছে।এর পরে এমনভাবে ধরা খাবেন যেমনভাবে জ্বালের মধ্যে মানুষ ধরা পড়লে ততই আটকিয়ে যায়, আমাদের সরকারও সেরকম আটকে যাবে ছাড়া পাবে না।”
খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘ সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের যে ভয় দেশনেত্রী যদি বেরিয়ে আসেন তাহলে তাদের তখতে তাউস ভেঙে চূরমার হয়ে যাবে। সেকারণে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিতসার জন্য দিতে চান না।”
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শওকত মাহমুদ বলেন, ‘‘আজকে আইনের দোহাই দেখানো হয়। আইন কোথায়? আইন কোনো অবশিষ্ট নাই। আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চাই।”
‘‘ যদি আপনারা(সরকার) অনুমতি না দেন, আমরা অনুমতি আদায় করে নেবো।আমরা পেশাজীবীরা রাজপথে দাঁড়িয়ে সেই দাবি আদায় করব।আমরা বলে দিতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে আপনাদেরও কিছু হবে।”

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল আলম, আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেটে আহমেদ আজম খান, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ডা. রফিকুল কবির লাভলু, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শামীমুর রহমান শামীম, চৌধুরী আবদুল্লাহ ফারুক, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের এম আবদুল্লাহ, নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেসক্লাবে ইলিয়াস খান, কর আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের জাকির হোসেন, এমটেবের বিপ্লব-উজ-জামান বিপ্লব, সম্মিলিন সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের কালাম ফয়েজী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
পেশাজীবীদের এই মানববন্ধনে মহানগর বিএনপি উত্তর আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিনের আহবায়ক আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান বক্তব্য রাখেন।