আড়াই বছর পর ক্লুলেস অটোচালক খুনের রহস্য উম্মোচন করেছে পিবিআই

আপডেট: ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
0

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরে ইয়াবা সেবনের টাকা যোগাতে চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে মাদকসেবী কয়েক যুবক। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর ক্লুলেস এ খুনের ঘটনার রহস্য উম্মোচন করেছে পিবিআই। শুক্রবার গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতের নাম- সাগর হোসেন (১৯)। কিশোরগঞ্জের করমিগঞ্জ থানাধীন কালিপুর (পূর্ব নোয়াবাদ) এলাকার আব্দুল মজিদ ওরফে হোলের ছেলে সাগর গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন বোর্ডবাজার কলমেশ্বর এলাকার আবুল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকে।

পিবিআই’র ওই কর্মকর্তা জানান, গাজীপুরের বোর্ডবাজার কলমেশ্বর এলাকায় বসবাস করে সাগর ও তার সহযোগিরা। তারা একত্রে চলাফেরা ও ইয়াবা সেবন করত। ইয়াবা সেবনের টাকা যোগাতে তারা ঘটনার রাতে (২০১৯ সালের ১৪ জুন) স্থানীয় বাদুরবন এলাকায় একত্রিত হয়ে অটো রিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই রাতে তারা যাত্রীবেশে কৌশলে আছমত আলীর (২৭) অটো রিকশা ভাড়া করে গাছা থানাধীন পলাশোনা নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। নদীর পাড়ে পৌঁছামাত্র তারা ছুরি দিয়ে আছমত আলীর ঘাড়ে, বুকে ও পেটে আঘাত করে হত্যা করে সাগর ও তার সহযোগিরা। পরে অটো রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের লোকজন ঘটনার আঁচ করতে পেরে ধাওয়া করলে অটো ফেলে পালিয়ে যায় তারা। নিহত আছমত আলী শেরপুরের নালিতাবাড়ির আন্দারপাড়া এলাকার মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন বোর্ডবাজার কলমেশ্বর এলাকার এমদাদের বাড়িতে ভাড়া থেকে এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালাতেন আছমত আলী (২৭)। তিনি গত ২০১৯ সালের ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। গভীর রাতে তার রক্তাক্ত লাশ স্থানীয় পলাশোনা নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ক্লুলেস এ খুনের এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জবেদা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

তিনি জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রায় দুই মাস মামলাটি তদন্তকালীন সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর নির্দেশে পিবিআই গাজীপুর জেলা কতর্ৃক তদন্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত সাগরকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে জড়িয়ে এবং মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। এরপ্রেক্ষিতে ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর উন্মোচন হয়েছে।