ঈদের আগে কারাবন্দি হেফাজত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর

আপডেট: এপ্রিল ১১, ২০২৩
0
file photo

বিনাবিচারে কারাবন্দি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া।

এক বিবৃতিতে হেফাজতের শীর্ষ এই দুই নেতা দাবি করেন, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলেম, মাদ্রাসা ছাত্র ও তাওহিদী জনতার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হতাহত করা হয়। একইসঙ্গে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশব্যাপী হেফাজতের শত-শত নেতাকর্মী ও আলেমকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। যাদের একটা অংশকে বিনা বিচারে এখনও কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ব্যক্তি, গোষ্ঠী, কোনো বাহিনী ও সরকার যেই করুন না কেন, এটা অপরাধকর্ম। যা বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার এবং বিদ্যমান আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। বিচারবহির্ভূতভাবে আলেম ওলামাদের শাস্তি দেওয়ার যে কৌশল সরকার প্রয়োগ করছে, তা চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর পরিচালিত নির্যাতনের সঙ্গে তুলনীয়।

এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে তদন্ত করার জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে হেফাজতের নেতারা।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতা বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবি, মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাগারে বন্দি সব আলেম-ওলামা ও হেফাজতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের শর্তহীনভাবে মুক্তি দিন। তাদের আপন পরিবারে ফিরে গিয়ে ঈদ-উৎসব পালনের অধিকার দিন।

অন্যথায় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া ঊর্ধ্বগতি ও বহুমাত্রিক নাগরিক অসন্তোষে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যেভাবে অস্থির হয়ে উঠেছে, সেখানে দেশের ইসলাম অনুরাগী তৌহিদী জনতাকে শান্ত রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।