কুড়িগ্রাম পাসপোর্ট অফিসের উপ সহকারি পরিচালক মোতালেব সরকারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

আপডেট: ডিসেম্বর ২২, ২০২১
0

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকারের বিরুদ্ধে অফিসের ভিতরেই এক সেবা গ্রহীতা নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
২১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক অফিসে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর উপস্থিত লোকজন ৯৯৯ এ ফোন করে সহায়তা চাইলে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিলেও অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে আটক করেনি পুলিশ।

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধারের সত‌্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে তিনি একটি পাসপোর্টের আবেদন করেন। তার স্বামী বিদেশে অবস্থান করায় তিনি নিজেই এ আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনে সমস‌্যা আছে জানিয়ে পাসপোর্ট কর্মকর্তা মোত্তালেব সরকার তাকে ফোন দিয়ে অফিসে আসতে বলেন।

ওই নারী আরও বলেন, মঙ্গলবার(২১ ডিসেম্বর) তিনি পাসপোর্ট অফিসে এসে মোত্তালেব সরকারের সাথে দেখা করলে তিনি (মোত্তালেব সরকার) তাকে তৃতীয় তলার একটি কক্ষে যেতে বলেন। ওই কক্ষে তার আবেদনপত্র সংশোধন করতে হবে বলে জানান। পরে ওই নারী ৩য় তলার কক্ষে গেলে মোত্তালেব সরকার রুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেন এবং তাকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করেন। এসময় ওই নারীর চিৎকারে অফিসে উপস্থিত অন‌্যান‌্য লোকজন গিয়ে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে ওই নারীকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব‌্যক্তি জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান। পরে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসলেও অভিযুক্ত মোত্তালেব সরকারকে আটক করেনি পুলিশ।
তবে এ ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকার। তিনি বলেন, ‘ওই নারীর স্বভাবই এরকম, উনি ডিভোর্সি মহিলা।’
ওই নারীর স্বভাব এরকম আপনি কীভাবে জানলেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা ভুক্তভোগী নারীকে দায়ী করে বলেন, ‘স্বভাব এমন না হলে এটা করলো কীভাবে!’
ওই নারীকে ফোন দিয়ে ডাকার কথা স্বীকার করে এই মোত্তালেব সরকার বলেন, ‘অফিস থেকে ফোন দিয়ে তার সনদ জমা ও সাক্ষর দিতে বলা হয়েছে। উনি আজ এসে সেগুলো দিয়ে আবার ফিরে এসে ২৫ তারিখের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার দাবি করেন। পরে তিনি এই সিনক্রিয়েট করেন।’
ওই নারীকে কেন তিন তলায় পাঠিয়ে আপনি কক্ষে প্রবেশ করলেন, এমন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি ওই কক্ষে যাইনি।’