কোভিড পরবর্তী সময়ে তরুণদের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে ইউএনডিপি-গ্রামীণফোন

আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২১
0

[ঢাকা, ০১_নভেম্বর, ২০২১]

১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে দেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনে তরুণদের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও গ্রামীণফোন যৌথভাবে ‘ফিউচার নেশন’শীর্ষক অ্যালায়েন্স গঠন করেছে।

মোট জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশের বেশি ১৮-৩৫ বছর বয়সী হওয়ার ফলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর বিশেষ সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়,২০১৭)। কিন্তু তরুণদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক টেকসই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারলে এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল ভোগ করা সম্ভব হবে না।

বৈশ্বিক মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করে তরুণদের দক্ষতা এবং সম্ভাবনা বিকাশের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে বেসরকারি, সরকারি এবং উন্নয়ন খাতের যূথবদ্ধ উদ্যোগ ফিউচার নেশন।

সুদীপ্ত মুখার্জি, রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং ইয়াসির আজমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গ্রামীণফোন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ পার্টনারশিপে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন খাতকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে এবং দেশের তরুণদের বিকাশে এগিয়ে আসতে হবে।”

তিনি বলেন, “বিশ্ব দ্রুতগতিতে বদলে যাচ্ছে এবং বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্ট আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সাথে দ্রুতগতির অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তন যে নতুন স্বাভাবিকতা সৃষ্টি করেছে, তার জন্য তরুণদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।”

সুদীপ্ত আরও বলেন, “বাংলাদেশ যখন কোভিড-১৯ এর সাথে মানিয়ে নিচ্ছে, তখন গ্রামীণফোনের সাথে এই পার্টনারশিপ দেশের তরুণদের বৈশ্বিক মহামারির নেতিবাচক প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধারে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।”

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এখন, ভবিষ্যত সম্ভাবনা উন্মোচনে এবং কোভিড-১৯ সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে, আমাদের অবশ্যই একসাথে কাজ করতে হবে এবং ডিজিটাল স্পেসে আমাদের তরুণদের জন্য সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে তাদের ভবিষ্যত উপযোগী দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করতে হবে। কোভিডের কারণে এই প্রয়োজনীয়তা আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন ভাবনা থেকেই ইউএনডিপির সাথে এই পার্টনারশিপ।”

আজমান আরও বলেন, “সঠিক দক্ষতা ও মানসিকতা তরুণদের ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিবে, আর এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডিভিডেন্ট কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

আগামী সাড়ে তিন বছরে দশ লাখ অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ‘ফিউচার নেশন’ তরুণদের কর্মসংস্থান উপযোগী দক্ষতা প্রদানে সহায়তা করবে এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে, সরকারি, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে উদ্ভাবন এবং পার্টনারশিপের মাধ্যমে এটি সফল করবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি ও জিপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।