জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়কে আরও সক্ষম ও কার্যকর করতে কাজ চলছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১
0

ঢাকা: ৬ অক্টোবর, ২০২১ইং, বুধবার।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরও সহজ করতে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে সক্ষম ও শক্তিশালী করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আয়োজিত জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে যেকোনো সরকারি সুবিধা নেয়া এবং দেয়া সহজ হয়। যত দ্রুত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে ততো বেশি আমরা আপডেট থাকব। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে সক্ষম করার অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আইন এবং বিধিমালায় যদি কোথাও সমস্যা থাকে সেগুলোরও সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করা হয়ে থাকে। আইডি কার্ড দেয়া এবং ভোটার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এটা যাতে না করতে পারে সেজন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন বিনামূল্যে করে দেয়া যায় কিনা তা পর্যালোচনা করে দেখবে সরকার। তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে জাতীয় কমিটি রয়েছে সেখানে এই বিষয়টি উত্থাপন করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু এবং করোনা এই দুটি সমস্যা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের। বিশ্ববাসী এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বিভিন্ন দেশের করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে।

এপ্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা এবং সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। একদিনে যে বিপুল সংখ্যক টিকা প্রদান করা হয়েছে তা বিশ্বে বিরল। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছে বলেই মানুষ টিকা নিচ্ছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, মেট্রোরেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প এবং এক শোটি অর্থনৈতিক জোন ছাড়াও অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে। এগুলো কি সফলতা নয়! এগুলো কি দেশের উন্নয়ন নয়! এসব উন্নয়ন বিএনপি চোখে দেখতে পায় না। এসকল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের চিত্র পরিবর্তন হয়ে যাবে। দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পারেন মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আজ যারা সরকারের সমালোচনা করে তারা দেশটা ধ্বংস করেছে। দারিদ্র্য, বৈষম্য, অন্যায়-অবিচার, হত্যায় দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিলো। এখন তারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। দেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি Ms. Veera Mendonca বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে রেজিস্টার জেনারেল মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

পরে, মন্ত্রী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, এবছর জাতীয় জন্ম মৃত্যু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন’।