জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ– মিশিগান বিএনপির

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
0

সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকার) সভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমেরিকা মিশিগান বিএনপির সভাপতি দেওয়ান আকমল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এক বিবৃতি দিয়েছেন।

দেওয়ান আকমল চৌধুরী বিবৃতিতে বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাই নন তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, একজন সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক সেনা প্রধান এবং বাংলাদেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের জনগণ হৃদয়ে লেখা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এ পদক এই সরকার দেয় নাই। এই পদক স্বাধীনতার পরপর বাংলাদেশের জনগণ ভালোবেসে জিয়াউর রহমানকে দিয়েছে।

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করলে হাত পুড়ে যাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। আমি বলবো জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। আর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করবেন না। এই সরকার জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায় কিন্তু তা কখনো হবে না

সম্প্রতি আল-জাজিরায় বাংলাদেশর বর্তমান সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধ চক্রের রিপোর্ট প্রকাশের পর জনরোষের কবল থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য ঘটানা প্রবাহ অন্য খাতে নেয়ার জন্য আরেো একটা নতুন ইস্যু তৈরি করার পায়তারা করছে।

এই মাফিয়া সরকার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে যত ষড়য়ন্ত্রই করুন জনগণ তা রুখে দিবে।নেতৃবৃন্দ কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন।সেইসাথে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহবান জানান।

সরকার শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে দেশে ও বহির্বিশ্বে একযোগে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।