গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরের টঙ্গীতে অসহায় নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগে এক হোটেলের ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় হোটেলের তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে এক যুবতীকে (২৭) উদ্ধার করা হয়। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন জিএমপি’র টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ।
গ্রেফতারকৃতের নাম- মো. শহিদুল ইসলাম (৪৫)। তিনি যশোরের শার্শা থানার লাউতারা এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে এবং গাজীপুরের টঙ্গী ষ্টেশন রোডের নোয়াগাঁও এলাকাস্থিত হাবিব গেস্ট হাউজের ম্যানেজার।
জিএমপি’র টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ জানান, গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন বয়সের নারীদের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের কক্ষে রেখে বাহির থেকে দরজা তালাবদ্ধ করে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করে আসছে সংঘবদ্ধ চক্র। তারা ওই নারীদের অসহায়ত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অধিক মুনাফা অর্জনের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন এলাকা হতে তাদের সংগ্রহ করে ওইসব আবাসিক হোটেলে নিয়ে এনে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে রবিবার রাতে পুলিশ টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ষ্টেশন রোডের নোয়াগাঁও এলাকাস্থিত হাবিব গেস্ট হাউজে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ হোটেলের বাহির থেকে তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের মিরপুর এলাকার এক যুবতী ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ওই হোটেলের ম্যানেজার শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই হোটেলের মালিক হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৫৫) এবং পার্শ্ববর্তী আজাদ রেষ্টুরেন্ট এন্ড গেষ্ট হাউজের মালিক মাসুদ (৪৫) হোটেল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে সোমবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
গাজীপুর।
