বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এশিয়া-প্যাসিফিক ও মধ্যপ্রাচ্য বিএনপি।
এক যৌথ বিবৃতিতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্বাধীনতার সুর্বন জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক ডক্টর শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মধ্যপ্রাচ্য সাংগঠনিক সমন্বয়ক সৌদিআরব বিএনপির আহ্বায়ক আহমেদ আলী মুকিব বলেন খালেদা জিয়া শুধু একজন বয়স্ক রাজনীতিবিদ নন, তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাঁর ভূমিকা কিংবদন্তির মতো।
তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয় নেতা।এ কথা মনে রাখতে হবে যে, বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক সেনাপ্রধান। বাংলাদেশের নারী শিক্ষা থেকে শুরু করে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার হাত ধরেই। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ হলেও তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দেয়াটা সত্যিই বেদনাদায়ক, অমানবিক ও নজিরবিহীন ঘটনা।
তাঁর পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রয়োজন। সব ধরনের রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে তাঁর উন্নত চিকিৎসার জরুরী প্রয়োজনে তাঁর বিদেশ ভ্রমনের উপর সকল বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবী জানান। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সকল সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দেশ বিদেশের আপামর জনসাধারণ চরম উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠিত।সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তারা তাকে বিদেশে উন্নত ও সুচিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না। সরকার বার বার আইনের দোহাই দিয়ে বিএনরি চেয়ারপারসনকে বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। অথচ মানবতার কাছে আইন কোনো বিষয় নয়। আমরা সরকারের এহেন অগণতান্ত্রিক ও বেআইনী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নেতৃবৃন্দ বলেন – খালেদা জিয়ার প্রতি মানবিক হোন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি তার ছোটো ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে হারিয়েছেন। তার বড় ছেলে দেশনায়ক তারেক রহমানও নির্বাসনে। তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও পরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিবে। তা না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।
এদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জরুরী প্রয়োজনে তাঁর বিদেশ ভ্রমনের উপর সকল বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন আমেরিকা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু মিশিগান বিএনপির সভাপতি দেওয়ান আকমল চৌধুরী আয়ারল্যান্ড বিএনপির সভাপতি হামিদুল নাসির জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়া কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক সাজু কুয়েত বিএনপির সদস্য সচিব শওকত আলী জার্মান বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক খান বেলজিয়াম বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃআলম হোসেন কানাডা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনছার উদ্দিন।আমেরিকা ম্যারিল্যান্ড বিএনপির সদস্য কবিরুল ইসলাম ইলিয়িন ষ্ট্রীট বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলু মিয়া প্রমুখ।
