ভারতে মুসলিম বিরোধী সহিংসতা বন্ধের দাবি জানালো জামায়াতে ইসলামী হিন্দ

আপডেট: এপ্রিল ১৫, ২০২২
0

ভারতে রাম নবমী উৎসবের মিছিল নিয়ে দেশের কিছু অংশে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পরে, ‘জামায়াতে ইসলামী হিন্দ’ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলোকে এ ধরনের কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) হিন্দি গণমাধ্যম ‘সিয়াসাত’ সূত্রে প্রকাশ, জামায়াতে ইসলামি হিন্দের জাতীয় সহ-সভাপতি সেলিম ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাগুলোকে মুসলিম বিরোধী অপকর্ম অভভিহিত করে বলেছেন, ‘এই সমস্ত জায়গায় একই প্যাটার্ন দেখা গেছে যেখানে কোনও উত্সব উপলক্ষে প্রথমবার মিছিল বের করা হয়েছিল, বিশেষ পতাকা ওড়ানো হয়েছিল, অস্ত্র বিশেষ করে তলোয়ার এবং ছুরি, স্পষ্টতই, প্রকাশ্যে ব্র্যান্ড করা হয়েছিল এবং মুসলিমদের ও ইসলামের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক এবং অবমাননাকর স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। কয়েকটি মসজিদের ক্ষতিরও চেষ্টা করা হয়েছে। কোথাও কোথাও মুসলিমদের সম্পত্তি ও দোকানপাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিসংযোগ ও লুঠপাটের ঘটনাও লক্ষ্য করা গেছে। এই সমস্ত ঘটনা দেশের অস্থিরতা ও বিদ্বেষের ক্রমবর্ধমান পরিবেশকে প্রতিফলিত করে।’

জামায়াত নেতা সেলিম ইঞ্জিনিয়ার বলেন, এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে কিছু রাজ্য সরকার তাদের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে এই অনুভূতি তৈরি করছে যে তারা দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগণের সরকার, যদিও সরকারগুলোর উচিত সমস্ত নাগরিকের সাথে ন্যায্য আচরণ করা।

তিনি বলেন, ‘কিছু রাজ্য সরকারের ওই মনোভাব দুর্বৃত্তদের উৎসাহিত করেছে। অনেক জায়গা থেকে জানা গেছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে পুলিশ ভুক্তভোগীদের টার্গেট করছে। বিপুল সংখ্যক নিরীহ মুসলিম যুবকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। মধ্য প্রদেশে, চরম নিষ্ঠুরতার ঘটনা রয়েছে যেখানে বুলডোজার দিয়ে মানুষের বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’

এসব ঘটনার নিন্দা করে সেলিম ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী হিন্দ বিশ্বাস করে, ওই ঘটনাগুলো ঘৃণার ফসল যা সারা দেশে ছড়ানো হচ্ছে। তিক্ত বক্তব্যের জন্য পরিচিত কিছু রাজনৈতিক নেতাও ওই সহিংসতার জন্য দায়ী। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করা উচিত। চলমান এসব ঘটনা সরকার ও প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারেরও দায়িত্ব পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া এবং রাজ্য সরকারগুলোকে সহিংসতার জন্য দায়ী উপাদানগুলোর পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উসকে দেওয়া শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে সময়োপযোগী এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো। পক্ষপাতিত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার জন্য দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

জামায়াতে ইসলামী হিন্দ সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের এবং সমস্ত বিবেকবান নাগরিকদের এই পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব অনুভব করার এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং এই ঘৃণা, বিষাক্ত বক্তব্য এবং সহিংসতার চক্র বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য আবেদন করেছে। #