বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে সেলাই মেশিন ও ব্যবসায়ীক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টন এলাকায় বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই বিতরণ অনুষ্ঠান করা হয়।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এই সেলাই মেশিন ও ব্যবসায়ীক উপকরণ বিতরণ করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আশরাফুল আলম ইমন ও শাহীন আহমদ খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এদেশের মানুষের কল্যাণে নানাবিধ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ আমরা সেলাই মেশিন ও ব্যবসায়িক উপকরণ জনগণের হাতে তুলে দিচ্ছি। ভয়াবহ বন্যা, করোনা মহামারীসহ বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে দুর্ভোগে জনগণের পাশে সবার আগে জামায়াতে ইসলামী ছুটে যায়। বর্তমানে হাসপাতালগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে জনস্বাস্থ্য তীব্র হুমকির মুখে। এজন্য আমরা আগেই জনসচেতনতা তৈরির জন্য কর্মসূচি দিয়েছিলাম। জামায়াতের পক্ষ থেকে আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও এডিস মশক নিধন পক্ষ পালন করেছি। নানাবিধ প্রতিকুলতার মধ্যেও মানবতার প্রয়োজনে জামায়াতে ইসলামী তার কল্যাণকর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে নজর দেয়ার পরিবর্তে নিজের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই ব্যস্ত। রাতের ভোটে নির্বাচিত বলেই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
সুতরাং আজকে দেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে, দেশের মুক্তি ও কল্যাণে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন অনিবার্য।’
তিনি আরো বলেন, জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বর্তমান অবৈধ, ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কোনো অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না। এই অপশক্তির হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণ বুঝে গেছে শেষ পদ্ধতি হিসেবে আওয়ামী সরকার জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি করে আবারো জোরপূর্বক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে রাখতে চাই। এ কারণে আওয়ামী সরকার ভীত হয়ে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে রেখেছে, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ বরেণ্য আলেম ওলামাদেরকে সরকার বছরের পর বছর কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতা রুখে দিয়ে নেতাদেরসহ দেশবাসীকে মুক্ত করতে হবে। তিনি এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার মানবসেবা ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজসেবা ও সমাজ সংস্কারের ধারাবাহিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। দেশের জনগণ দেখেছে, ভয়াবহ বন্যা ও করোনা মহামারীসহ নানা দুর্যোগ ও সঙ্কটে জনগণের কল্যাণে সংগঠনের কর্মীরা সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তিনি সমাজের অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
