সরকারই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির সাথে জড়িত—মীর্জা ফখরুল

আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২২
0

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের কোনো ক্ষমতাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গত কয়েকদিন দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে মঙ্গলবার দুপুরে প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের দোয়া মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ আজকে দেখেন দেশের কী ভয়াবহ অবস্থা? মানুষজনের নাভিশ্বাস উঠেছে। চালের দাম বাড়ছে, ডালের দাম বাড়ছে, চিনির দাম বাড়ছে, লবনের দাম বাড়ছে। সোয়াবিন তেলের দাম কমাতে পারে না, বাড়তেই আছে। সবজীর দাম বাড়ছে।”

‘‘ সরকারের কোনো ক্ষমতাই নেই দাম কমানোর। কেনো ক্ষমতা নেই? যে তারা, সরকার এই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির সাথে জড়িত। কিভাবে? এই যে ব্যবসায়ী যারা আছে, যারা সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন তারা হয় মন্ত্রী, না হয়ে সরকারি দলের এমপি, না হয় দলের লোকজন। এই মানিকগঞ্জে সরকারি দলের বাইরে অন্য দলের কেউ ব্যবসা করতে পারে? পারে না।”

দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতিতে জনগনের নাভিশ্বাস উঠেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এটা আড়াল করতে সরকারের মন্ত্রীরা বলে কিনা মানুষের আয় বেড়েছে। মানুষের আয়ের কথা বলে, আয় কী বেড়েছে? আর ব্যয় কত বেড়েছে সেটা তারা বলে না। এখন যে পরিমান ব্যয় হয়, অনেক সময় দেখা যায় যে সেই পরিমান টাকাই তার ধারদেনা করে আনতে হয়।”

‘‘ এই অবস্থায় এই সরকারের মন্ত্রীরা জনগনের সাথে রসিকতা করে, মস্করা করে।”

তিনি বলেন, ‘‘ আজকে সরকারের ঘুম-দুর্ণীতি সর্বমহলে একটা ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অর্থাত পরিকল্পিতভাবে সরকার এই দেশকে একটা দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছে।”

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাঁচুরিয়ায় বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিল হয়।

অনুষ্ঠানের আগে বিএনপি মহাসচিব নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রয়াত নেতার কবর জিয়ারত করেন এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পন করেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এই সরকারের অধিনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে না, তারা কখনোই সুষ্ঠ নির্বাচন করতে পারবে না।আমাদের একটাই দাবি, নির্বাচনকালীন সময়ে অবশ্যই এই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।”

‘‘ দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানাব, দলকে শক্তিশালী করেন, সংগঠিত করেন। সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হউন। একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলব এবং এই ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।”

দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, শামীমুর রহমান, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, ইসহাক সরকার শায়রুল কবির খান, জেলা বিএনপির এস এ জিন্নাহ কবির, নূরতাজ আলম বাহার, প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনেরে ছেলে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু খোন্দকার আব্দুল হামিদ খান ডাবলু, খোন্দকার আফতাব হোসেন জগলু, আব্দুল আলিম মনোয়ার, গোলাম মহিয়ার খান শিপার, জেলা আইনজীবি সমিতির জামিলুর রশিদ খান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের আজাদ হোসেন, জেলা কৃষক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, প্রজন্ম ৭১ এর ঢালী আমিনুর ইসলাম রিপন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।